মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে বিক্ষোভে রাস্তায় নেমেছেন পড়ুয়ারা। জেলায় বিভিন্ন জায়গায় ধরা পড়ছে এই ছবি। তাদের দাবি, পরীক্ষা আগামী ১৬ তারিখ, এর মধ্যে ঠিকমত পড়াশোনাই হয়নি। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় এই অবস্থা। তাই পরীক্ষা বাতিল করা হোক, নাহলে পেছানো হোক।
পরীক্ষা পেছানোর দাবি নিয়ে জলপাইগুড়ি শহরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্ররা। অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতির জন্য সিলেবাসই কমপ্লিট হয়নি। এই পরিস্থিতিতে টেস্ট পরীক্ষা দিলে পরীক্ষার রেজাল্ট কারও ভাল হবে না। ছাত্রদের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারেনি তারা। স্কুলগুলোতে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস হলেও ঠিকমতো পড়াশোনা হয়নি।
বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির সোনাউল্লা হাইস্কুল, FDI স্কুল, জলপাইগুড়ি হাই স্কুল ও জেলা স্কুলের ছাত্ররা সম্মিলিত ভাবে বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের দাবি টেস্ট পরীক্ষা ছাড়াই তাদের মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যদিকে শিক্ষা দপ্তরের দাবি, আগামী ৩১ তারিখের মধ্যেই টেস্ট পরীক্ষা করাতেই হবে।
শুক্রবার এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বেলাকোবা গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রীরাও। তাদের দাবি, করোনা আবহে স্কুল বন্ধ থাকায় ঠিকমত পড়াশোনা হয়নি। অফলাইন ক্লাসেও পড়া হয়নি সেভাবে, ফলে সিলেবাস এখনও কমপ্লিট নয়। এর মধ্যে পরীক্ষা দিলে রেজাল্ট ভালো হবে না। পরীক্ষা পেছাতে হবে নাহলে বাতিল করতে হবে, এই দাবিতে স্কুলের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্কুল ছাত্রীরা। এবিষয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান, ইংরেজি এবং সংস্কৃত বিষয়ে শিক্ষক না থাকায় সেই ক্লাসগুলি হয়নি, তবে বাকি ক্লাস ঠিকমত হয়েছে।
স্কুল পরিদর্শক বালিকা গোলে জানান, প্রয়োজনে স্কুলগুলি পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করতে পারে। কিন্তু আগামী ৩১ তারিখের মধ্যেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা শেষ করাতে হবে। সেই ব্যপারে স্কুল গুলিকে বলা হয়েছে। কিন্তু কোনওভাবেই পরীক্ষা বাতিল করার সুযোগ নেই।