মালদা: বিহারের কোশি নদীর বাঁধ খুলে দেওয়ায় হু হু করে জল ঢুকতে পারে মানিকচকের গঙ্গা ও ফুলহর নদীতে। আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে মালদার মানিকচকের বন্যা পরিস্থিতি। সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের তরফে রবিবার লাল সতর্কতা জারি করা হল মানিকচক পাঁচটি অঞ্চলে।
সকাল থেকেই পুলিশ প্রশাসনের তরফে শুরু হয়েছে সচেতনতামূলক মাইকিং। মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়ে থাকার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। আর এই বার্তা পেয়েই এদিন সকাল থেকে ভূতনীর বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা থেকে মানুষজন সরে পড়ছেন নিরাপদ আশ্রয়ে।
অন্যদিকে মানিকচকের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কার কথা আঁচ করতে পেরে রবিবার সাত সকালেই বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গেলেন মালদার জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। ভূতনী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় খোঁজখবর নেন। ভূতনীর বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এরপর তিনি মানিকচক ব্লক দপ্তরে যান বলে খবর।
কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতা এবং বর্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার জন্য ভাঙ্গন রোধের কাজ আমরা করতে পারিনি। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি জেরে হু হু করে জল বেড়েছে গঙ্গার। বন্যা কবলিত মালদার মানিকচক এবং ভুতনি বাসির পাশে আমি রয়েছে। আমাদের সরকার আপনাদের সর্বত্র ভাবে সাহায্য করবে। আমি আজ ফিরহাদকে পাঠিয়েছি। তাছাড়াও আপনাদের যেকোনো সমস্যার কথা জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারকে জানান। বানভাসীরা যাতে কোন সমস্যা সম্মুখীন না হয় পর্যাপ্ত ত্রাণ পান তার জন্য নির্দেশ দেন ডিএম ও এসপিকে। আজ মালদার মানিকচক ব্লকের গোপালপুর অঞ্চলে বন্যা কবলিতদের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়ার পর মন্ত্রী ফিরাজ হাকিমের ফোন থেকে লাউড স্পিকার করে বানভাসীদের উদ্দেশ্যে এই কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।