শিলিগুড়ি: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-বাবা, ভাই ও দুই বছরের ছেলেকে হারিয়ে নিঃস্ব। সর্বহারা সুফলা দাস এবং তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের হাতে আট লক্ষ টাকার অর্থ সাহায্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতাকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন সুফলা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজগঞ্জ ব্লকের গজলডোবা সংলগ্ন টাকিমারি এলাকায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট গরুকে বাঁচাতে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতদের মধ্যে আড়াই বছরের এক শিশুও রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুকিং করে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ করছিলেন পরেশ দাস। এদিন সন্ধ্যায় হুকিংয়ের তারের একটি দিক বাড়ির সামনে জমা জলে পড়েছিল। সেইসময় তাঁর ছেলে মিঠুন দাস গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। গরু বাঁচাতে ছুটে যান বাপ-ব্যাটা পরেশ ও মিঠুন। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে দু বছরের নাতিকে কোলে নিয়ে ছুটে যায় পরেশের স্ত্রী দীপালি দাস। তখনই এমন কাণ্ড ঘটে। ঘটনাস্থলেই চার জনের মৃত্যু হয়। চারজন বিদ্যুৎস্পষ্ট হওয়ার খবর পেয়ে আসে ভোরের আলো থানার পুলিশ। দেহগুলি উদ্ধার করে শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন মেয়র গৌতম দেব এবং বিধায়ক খগেশ্বর রায়।এরপর আজ উত্তরকন্যায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার প্রশাসনিক বৈঠকের পর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারটির হাতে চেক তুলে দেন তিনি। গজলডোবার এই ঘটনা খুবই মর্মান্তিক বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।