জলপাইগুড়ি: বালি পাচার আটকাতে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে হাতাহাতি পুলিশের। আহত অন্তত ৮ পুলিশকর্মী, গ্রেপ্তার ৬। পুলিশ বলছে, অবৈধভাবে বালি তোলার বিরুদ্ধে অভিযানে নামা হয়েছিল। সেখানেই খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। এদিকে, শ্রমিকেরা বলছেন, আইন সবার জন্য সমান নয় কেন? বড় গাড়ি না আটকে ছোট গাড়ির ওপর চোটপাট কেন পুলিশের?
নদী থেকে অবৈধভাবে বালি পাথর তোলা হচ্ছে দেখেও চুপ কেন পুলিশ? দু’দিন আগেই নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কড়া মনোভাব প্রকাশ করতেই বিভিন্ন নদীতে নেমে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। শুক্রবার মাল ব্লকের ওদলাবাড়িতে ঘিশ নদীতে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হলেন প্রায় ৮ জন পুলিশ কর্মী। পুলিশের বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর করা হয়। ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মাল থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আটক হয়েছে দুটি গাড়ি।
জলপাইগুড়ি জেলার এসপি দেবর্ষি দত্ত সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘নদীতে কোনো বেআইনি কাজ করতে দেওয়া যাবে না। বেআইনি কাজে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ চলবে। এদিনের ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান। আইন সবার জন্য সমান। যারাই সরকারি আইনকে লঙ্ঘন করবেন তাদের বিরুদ্ধেই ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। নদীতে কাজ করা শ্রমিকদের অবশ্য বক্তব্য, ‘নদীতে বড় গাড়ি চলে সেই সমস্ত গাড়িও ধরা উচিত। সবার জন্য একই আইন হওয়া দরকার।’
শুক্রবার সকালে মাল ব্লকের ওদলাবাড়ির ঘীস নদী এলাকায় অভিযানে যায় মালবাজার থানার পুলিশ। নদীতে বেআইনি ভাবে বালি পাথর তোলার কাজে লিপ্ত একটি ট্রাক্টরকে আটক করে পুলিশ। সেই সময় ট্রাক্টর মালিক এবং নদীতে বালি পাথর কাজ করার সাথে যুক্ত মানুষদের সাথে বচসা বাধে পুলিশের। সেই সময় পুলিশ এক জনকে আটক করে। এরপরই পুলিশের কাছ থেকে আটক করা ব্যাক্তিকে ছারাতে গেলেই খন্ডযুদ্ধ বেধে যায়। এলাকার কিছু মানুষ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে পাথর বৃষ্টি শুরু করে। আর এতেই ৮ জন পুলিশকর্মী আহত হন। ভেঙ্গে দেওয়া হয় পুলিশের তিনটি গাড়িকে। এরপরই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মালবাজার থানার আই সি সুজিত লামা, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রবীন থাপা সহ জলপাইগুড়ি জেলার এসপি দেবর্ষী দত্ত। এলাকাজুড়েই শুরু হয় ধরপাকড়। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ ক্যাম্পও।