রাজগঞ্জ: দীর্ঘ ২৬ বছর শিক্ষকতার পর স্কুলের চাকরি থেকে অবসর নিলেন রাজগঞ্জের সবার প্রিয় ‘ঘেতু স্যার’ ওরফে প্রদীপ্ত দে। মঙ্গলবার কর্মজীবনের শেষ দিনে স্যারের বিদায়বেলায় চোখের জলে ভাসালেন প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা। সেলফিতে ‘প্রিয় স্যার’কে ফ্রেমবন্দীও করলেন।
মঙ্গলবার রাজগঞ্জের প্রধানপাড়া গমিরুদ্দিন হাইস্কুল প্রাঙ্গনে বিদায়ী শিক্ষকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পালিত হল। ‘প্রিয় স্যারে’র দীর্ঘ কর্মজীবনের স্মৃতি ঘেঁটে আবেগতাড়িত হলেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। শেষবেলা’র অনুষ্ঠান স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়াদের গান-বক্তব্যের মাধ্যমে উদযাপিত হল।
১৯৯৭ সাল থেকে ওই স্কুলে বাংলা পড়িয়েছেন রাজগঞ্জের মহেন্দ্রনগরের বাসিন্দা প্রদীপ্ত দে। তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে ছাত্র ছাত্রীদের একজন প্রিয় শিক্ষক হয়ে উঠতে পেরেছেন তিনি। ভালোবাসা পেয়েছেন অভিভাবকদেরও। এদিনের অনুষ্ঠানে তাই বিদায়ী শিক্ষককে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হলেন গ্রামবাসিরাও। অনেকেই স্যারকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন; পায়ে পড়ে প্রণামও করলেন অনেকেই। গ্রামবাসীরা সকলেই শুভেচ্ছা স্বরুপ সাধ্যমত উপহার তুলে দিলেন স্যারের হাতে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রিতম গোস্বামী জানান, ১৯৯৭ সাল থেকে স্কুলে বাংলা পড়িয়েছেন। পঠন-পাঠনের অভিনব কায়দা জানা ছিল তার। শুধুমাত্র শিক্ষকতার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে এক নিবিড় আত্মীয়তা স্থাপন করেছিলেন তিনি।
স্কুলের আরও এক শিক্ষক মনোজিত সান্যাল বলেন, স্কুল থেকে তাঁর কর্মজীবনের ইতি একটি যুগের অবসান ঘটাল যেন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন রাজগঞ্জে মহেন্দ্রনাথ হাই স্কুলের ভূগোল শিক্ষক হেমেন্দ্রনাথ রায় এবং ফাটাপুকুর সারদামনি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ডঃ সুমন্ত বাগচি।
বিদায়ী শিক্ষক প্রদীপ্ত দে বলেন, শুভেচ্ছা, ভালোবাসা পেয়ে আপ্লুত। কর্মজীবনের শেষ হলেও স্কুলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে। ব্যক্তিগত ভাবে পুরনো সহকর্মী এবং ছাত্রছাত্রীদের যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করব। মঙ্গলবার স্কুলে রাজগঞ্জ প্রধানপাড়া গমিরুদ্দিন হাইস্কুল প্রাঙ্গণে সকলের প্রিয় বাংলার শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মত।