রাজগঞ্জ: ছোটবেলায় যে শিক্ষাকেন্দ্রে হাতেখড়ি, অ-আ শেখা, সেই স্কুলের আজ ভগ্নদশা। ওই শিক্ষা কেন্দ্রের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র স্কুলের দিদিমনির হাতে তুলে দিলেন রাজগঞ্জ এমএন হাই স্কুলের শিক্ষক দীপঙ্কর দে।
রাজগঞ্জের বাবুপাড়া সুভাষপল্লীতে ‘কস্তুরবা গান্ধি ন্যাশেনল মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ পরিচালিত গ্রামসেবা শিক্ষাকেন্দ্রটি জলপাইগুড়ি জেলাতে একমাত্র। যা ১৯৬৪ সাল থেকে বাচ্চাদের বুনিয়াদি পড়াশুনায় হাতেখড়ি দিয়ে আসছে। বর্তমানে ওই শিক্ষাকেন্দ্রের বেহাল দশা। যেহেতু কেন্দ্রটি কোনও সরকারি বা বেসরকারি সাহায্য পায়না তাই এমন হাল। স্কুলঘরটির ভাঙ্গাচোরা অবস্থা।
ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে হাইস্কুলের শিক্ষক দীপঙ্কর দে বাচ্চাদের পড়াশুনার সুবিধার্থে কিছু স্টাডি মেটেরিয়াল তুলে দিলেন। দীপঙ্কর জানান, ছোটবেলায় বাড়ির সামনে এই শিক্ষাকেন্দ্রেই বুনিয়াদি পড়াশোনা করেছিলেন তারা। তবে যেহেতু শিক্ষাকেন্দ্রটি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং সরকারি কোনও সুবিধা পায় না তাই আমরা প্রাক্তনেরাই যদি এই শিক্ষাকেন্দ্রটির জন্য সাধ্যমত এগিয়ে আসি তবেই হয়ত স্কুলের ভগ্নদশা কাটিয়ে তোলা সম্ভব হবে।
স্কুলে কর্মরত এক দিদিমনি জয়ন্তী মোদক বলেন, গান্ধীজীর অনুপ্রেরণায় পরিচালিত একটি ট্রাস্টের পরিচালনায় চলছে এই কেন্দ্র। ওই ট্রাস্টের পরিচালনায় রাজ্যে মোট ন’টি এমন শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। জলপাইগুড়িতে একমাত্র রাজগঞ্জেই রয়েছে একটি। ট্রাস্টের প্রধান কার্যনির্বাহী সদস্যা কলকাতার বাসিন্দা। তিনি জানান, সেবাভাব নিয়ে বিনামূল্যে এলাকার বাচ্চাদের বুনিয়াদি পড়াশোনা করানোই এই সেবা কেন্দ্রের উদ্দেশ্য। প্রাক্তন এবং প্রতিষ্ঠিত পড়ুয়ারাই যদি স্কুলের ভগ্ন দশা ঘোচাতে এগিয়ে আসেন তাহলে তো খুবই ভালো কথা।
গত ২৩ জানুয়ারি নেতাজি জয়ন্তী উপলক্ষে ওই গ্রাম সেবা কেন্দ্রে গিয়ে বাচ্চাদের জন্য কিছু স্টাডি মেটেরিয়াল এবং মনিষীদের ছবি তুলে দেন। বর্তমানে ওই কেন্দ্রে এলাকার প্রায় ২৫ জন পড়ুয়া বুনিয়াদি শিক্ষা গ্রহণ করছেন। স্কুলের দুই দিদিমনি সামান্য সাম্মানিকের বিনিময়ে বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন।