নারদ কেলেঙ্কারিতে সোমবার সাতসকালে রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূল নেতা মদন মিত্র এবং কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপ ঘিরে টানটান উত্তেজনা শুরু হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, নারদ কেলেঙ্কারিতে নাম থাকা সত্ত্বেও বিজেপিতে থাকার কারণে রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়কে গ্রেপ্তারির পথে হাঁটেনি সিবিআই। সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে পরাজিত হয়েছে বলেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চাইছে মোদি সরকার।
বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও যিনি নারদ স্টিং অপারেশনটি করেছিলেন সেই ম্যাথু স্যামুয়েলও একই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, সোমবার যে গ্রেপ্তারি হয়েছে তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। তিনি নিজে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর দপ্তরে দেখা করেছিলেন। শুভেন্দু তাঁর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন।
ম্যাথু জানিয়েছেন, মুকুল রায়ের সঙ্গেও তিনি দেখা করেছিলেন। মুকুল নিজে সরাসরি টাকা না নিলেও সাসপেন্ডেড আইপিএস মির্জাকে তা দিতে বলেছিলেন। নারদ কর্তার সাফ কথা, মুকুল, শুভেন্দুর বিরুদ্ধেও তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। তাহলে ওঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না কেন! এক ভিডিও বার্তায় ম্যাথু বলেন, ’আজ খুশির দিন। অনেকগুলি বছর পার হয়ে গেল। ২০১৬ সালে ওই স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিল। সিবিআই এতদিন এঁদের গ্রেপ্তার করতে পারছিল না। অথচ তিন বছর আগেই তাদের চার্জশিট তৈরি হয়ে গিয়েছিল।‘
ম্যাথু বলেন, ‘আমি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ওঁর দপ্তরে দেখা করেছিলাম। কিন্তু ওঁর নাম গ্রেপ্তারির তালিকায় নেই। এটা কী হল? আমি ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম শুভেন্দু অধিকারীকে। টাকা দেওয়ার ভিডিও টেপ সিবিআইয়ের কাছে জমা রয়েছে। তার ফরেন্সিক পরীক্ষাতেও কোনও গরমিল পাওয়া যায়নি।‘