প্রার্থী অপছন্দ! দলে থেকেই দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়বেন এই BJP নেত্রী

হুগলি: দলের হয়ে লড়াই করেও ভোটে টিকিট মেলেনি। উল্টে তার অপছন্দের একজনকে প্রার্থী করেছে দল। হুগলির কোন্নগরে পুরোনো বিজেপি নেতৃত্বের অন্যতম নেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য আশা করেছিলেন তার লড়াইকে মনে রেখে ‘তাঁকে স্বীকৃতি দেবে দল। কিন্তু রবিবার দুপুরেই জানতে পারেন এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন প্রবীর ঘোষাল। ক্ষোভ থেকে তাই ঠিক করেন নির্দল প্রার্থী হয়েই এবছর ভোটে লড়বেন তিনি। সেইমতো কর্মীদের নিয়ে রবিবার রাত থেকেই দেওয়াল লেখার কাজও শুরু করে দিয়েছেন কৃষ্ণা। তাঁর দাবি, গেরুয়া ঝান্ডা বহন করে চলেছেন অনেকদিন ধরেই। ২০২১–এর বিধানসভা ভোটে লড়ার জন্য দলের তরফে ছাড়পত্র পাবেন তিনি। যদিও তিনি বিজেপিতেই আছেন।

কৃষ্ণা ভট্টাচার্য জানান, ‘দল তো আমাকে এখনও বের করে দেয়নি।’ কৃষ্ণার কথায়, ১৯৮৮ সাল থেকে এই দলটা করে আসছি। যখন এই এলাকায় কেউ বিজেপি করত না তখন থেকেই আমরা কয়েকজন বিজেপি করতাম। দুর্দিনে ছিলাম। আজ সুদিন এসেছে বলে দল আমাকে ভুলে গেল? ২০১৬তে এই কেন্দ্র থেকেই সেইসময়ের তৃণমূল প্রার্থী প্রবীর ঘোষালের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন কৃষ্ণা। এবছর প্রবীরকে মানতে অসুবিধা কোথায়? কৃষ্ণার অভিযোগ, যখন তৃণমূলে ছিলেন প্রবীর তখন দিনের পর দিন বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছেন। তাই আজ আমার পক্ষে তাঁকে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমার বিশ্বাস তাঁকে বিজেপি কর্মীরাও মেনে নিতে পারবে না। তাঁর জায়গায় অন্য কাউকে দাঁড় করালে আজ এই পরিস্থিতি হত না।

তাঁর কথায়, ‘দুর্দিনের কর্মীদের ভুলে গিয়ে হঠাৎ করে অন্য দল থেকে আসা কাউকে টিকিট দেওয়াটা ঠিক বলে মনে করি না। সাধারণ মানুষের কাছেও ভুল বার্তা যাচ্ছে।’ যদিও এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি উত্তরপাড়ার বিজেপি প্রার্থী প্রবীর ঘোষাল। রাজ্যে দলের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘বিষয়টি তেমন কিছু নয়। আমি নিজে কৃষ্ণা ভট্টাচার্যর সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি সমস্যা মিটে যাবে।’