●চূড়ান্ত বর্ষের ক্ষেত্রে ৮০% নম্বর নেওয়া হবে পূর্ববর্তী ২ বছরের মধ্যে সেরা প্রাপ্ত নম্বর থেকে।
●বাকি ২০% এর অ্যাসাইনমেন্ট হবে। ছাত্রছাত্রীরা যারা যে সেমিস্টারে পড়ছে তাঁদের পরবর্তী সেমিস্টারে প্রোমোট করা হবে।
●৩১ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত বর্ষের ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
কলকাতা: রাজ্যে ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতিতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরীক্ষা নেওয়া হবেনা। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে এদিন সুপারিশ পাঠাল উচ্চশিক্ষা দফতর।
সুপারিশে বলা হয়েছে, ইউজি-পিজি এর চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ নম্বর নেওয়া হবে বিগত দুই বর্ষের মধ্যে যে বর্ষের নম্বর সেরা, সেটা থেকে এবং বাকি ২০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে। বাকি ছাত্রছাত্রীরা যারা যে সেমিস্টারে পড়ছে, তাঁদের পরবর্তী সেমিস্টারে প্রোমোট করা হবে।
চূড়ান্ত বর্ষের ফলাফল ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে প্রকাশ করতে হবে। এই ফলাফল কোনও পড়ুয়ার পছন্দ না হলে সে পুনরায় পরীক্ষার জন্য আবেদন করে পরীক্ষা দিতে পারবে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তবেই সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং, ল, ম্যানেজমেন্ট, ফার্মাসি ও শিক্ষক শিক্ষণের ক্ষেত্রেও এই মূল্যায়ন পদ্ধতি বহাল থাকবে। এছাড়াও বলা হয়েছে, এই শিক্ষাবর্ষে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে উপস্থিতি বা এটেন্ডেন্স পূর্ণ হিসেবেই ধরা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে বলা হয়েছে অ্যাসাইনমেন্টের জন্য অতিরিক্ত কোনও ফি না নিতে। কয়েকদিনের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এবিষয়ে বিস্তারিত নোটিস জারি করবে বলে জানা গিয়েছে।
গতকালই উচ্চমাধ্যমিকের বাকি থাকা পরীক্ষা বাতিলের কথা ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২, ৬ ও ৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা হচ্ছে না, শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন হবে তা পরে জানানো হবে বলেই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। জুলাইতে উচ্চমাধ্যমিক হওয়ার ছিল। কিন্তু প্রশ্ন ছিল এরপর উচ্চমাধ্যমিকের ভবিষ্যত কী হবে? গতকালই তা স্পষ্ট করেছে শিক্ষা দফতর।