টিকিট না পেয়ে শিলিগুড়িতে নির্দল প্রার্থী হচ্ছেন তৃণমূলের নান্টু পাল

শিলিগুড়ি: টিকিট না পেয়ে দলের ভেতরে বিদ্রোহ ঘোষণা। তৃণমূলের প্রার্থী হতে না পেরে এবার নির্দল হিসেবে ভোটে লড়বেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নান্টু পাল। বিধানসভা নির্বাচনে শিলিগুড়ি আসনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। শিলিগুড়ি থেকে নির্বাচনের টিকিট না পাওয়ার জেরে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত তৃণমূলের শিলিগুড়ি বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান নান্টু পালের। তাঁর স্ত্রীও একইসঙ্গে দল ছেড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়ালে দলবিরোধী কাজ হবে, মানছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

শুক্রবার তৃণমূলের তরফে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই জায়গায় জায়গায় তৃণমূলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ চড়েছে। টিকিট না পেয়ে সুর চড়িয়েছেন অনেকেই। অনেকেই ইতিমধ্যে বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়েছেন। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলেন শিলিগুড়ির নান্টু পাল। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই তিনি জানান, শহরের কাউকে প্রার্থী করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছিলেন তাঁরা। যে ব্যক্তি কিছুদিন আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করতেন, তাঁকে প্রার্থী দেওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না নান্টু পাল।

প্রসঙ্গত, রাজগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার পরই চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজগঞ্জের অন্যতম পরিচিত তৃণমূলের মুখ কৃষ্ণ দাস। তাঁর সমর্থকদের দাবি, কৃষ্ণ দাসই একুশের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থীর সেরা দাবিদার ছিলেন। কিন্তু তাঁকে দলের টিকিট না দেওয়ায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং কৃষ্ণ দাস এবং তাঁর অনুগামীরা। ‘নির্দল’ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রেখে আগামী ১৩ মার্চ অভিষেক ব্যানার্জী ও ‘টিম পিকে’র বৈঠকে কলকাতা যাচ্ছেন তৃণমূলের এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাস। আগামী ১২ মার্চ কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি।