১ লা জুন থেকে খুলছে রাজ্যের সমস্ত ধর্মীয়স্থান, ৮ ই জুন থেকে খুলছে সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস

কলকাতাঃ রাজ্যের সব ধর্মীয়স্থানের দরজা ১ জুন থেকে খুলে যাচ্ছে। তবে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে একসঙ্গে ১০ জনের বেশি নয়। কোনও জমায়েত চলবে না। শুক্রবার নবান্নে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮ জুন থেকে খুলবে অফিসও। তিনি বলেন, গাদাগাদি করে ট্রেনে এত লোক যদি আসতে পারে, তা হলে মন্দির, মসজিদ খুলতে কোথায় অসুবিধা। বরং এই সঙ্কটে মানুষ একটু প্রার্থনার সুযোগ পাবে। বহুদিন ধরে মন্দির, মসজিগ, গুরুদ্বারগুলো বন্ধ। কোথাও সাপ-ব্যাঙ ঢুকে বসে আছে। কোথাও ইঁদুর-বাদুড় ঢুকে আছে। পরিষ্কার করতে অন্তত ৭২ ঘন্টা সময় লাগবে। তাই সোমবার ১ জুন থেকে খোলা যেতে পারে সব ধর্মস্থান। তিনি এদিনই বেসরকারি বাস পরিষেবা নিয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন। বাসে যে কটা আসন, সেই কজন যাত্রী নিয়েই চলতে হবে। কেউ দাঁড়িয়ে যাতায়াত করবেন না বেসরকারি বাসে। চালক, কনডাক্টরদের মাস্ক, গ্লাভস ব্যাবহার করতে হবে। লোকাল ট্রেনের আসনে ৩ জনের বেশি যাত্রী না বসার পরামর্শ দেন তিনি। আমফান বিধ্বস্ত সাতটি জেলায় ত্রাণের জিনিসপত্র পাঠানো হচ্ছে। শুক্রবার থেকে সেই ত্রাণ ও ওষুধ, বেবি ফুড পাঠানো হবে। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় আমফানে যাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ২০০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।

এদিকে চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন শেষ হওয়ার সময়ের অপেক্ষামাত্র। যদিও দেশে যেভাবে সংক্রমণের হার বাড়ছে, তাতে সম্পূর্ণ লকডাউন প্রত্যাহার নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবতে পারে কেন্দ্র। এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ১লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৯৯। মৃত্যু হয়েছে ৪৭০৬ জনের। বিশ্বের করোনা পরিসংখ্যানের নিরিখে ভারত এখন নবম স্থানে। বাংলায় গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড হারে করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যানের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। ভিন রাজ্য থেকে ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের হাত ধরেই রাজ্যে করোনা আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এই মুহূর্তে এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৫৬৩। মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৩এ।