গ্রামে ঢুকতেই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, আদালতে যাওয়ার হুশিয়ারি মমতার

নন্দীগ্রাম: ভোট পরিদর্শনে বেরিয়ে ফের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের মুখোমুখি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে হাইভোল্টেজ ভোট। এদিন দুপুরে ঘর থেকে বেরিয়ে গ্রামে ভোট পরিদর্শনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। দুপুর সওয়া ১ টা নাগাদ রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমে বয়াল ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর বুথে যান তৃণমূল নেত্রী। হুইলচেয়ারে বসেই সেখানে গ্রামের মধ্যে ঢুকে যান তিনি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে, মারধর করছে বলে তাঁকে জানান স্থানীয় ভোটাররা। মমতার কাছে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান সকলে। বয়াল, গোকুলনগর, সোনাচূড়া নিয়ে সকাল থেকেই নানা অভিযোগ সামনে আসছিল। মমতা যখন বয়াল মাস্তুল স্কুলের ভিতরে ঢোকেন, সেই সময় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা মমতাকে লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেন।

ছাপ্পাভোটের অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি নন্দীগ্রামের বয়ালে। সেখানে ৭ নম্বর বুথে রয়েছেন মমতা। পরিস্থিতির তদারকি করছেন তিনি। মমতার অভিযোগ, বাইরে থেকে লোক এনে ভোট করাচ্ছে বিজেপি। যাদের আনা হয়েছে, তাঁরা কেউ বাংলা জানেন না। তৃণমূলের অভিযোগ, সেখানকার বুথে তৃণমূল এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। অবাধে ছাপ্পা ভোট করেছে বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে মমতার কাছে অভিযোগ জানান বয়ালের বাসিন্দারাও। মমতার উপস্থিতিতেই বুথের বাইরে ধুন্ধুমার বেধে যায় তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। তাতে পরিস্থিতি তেতে ওঠে। পরস্পরকে লক্ষ্য করে ছুড়তে শুরু করেন তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকরা। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও বেধে যায়।

পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসে রাজ্য পুলিশ এবং র‌্যাফ। দুই শিবিরকে আলাদা করে দেয় তারা। কিন্তু বুথের বাইরের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায়, বুথের ভিতরই আটকে পড়েন মমতা। তাঁকে অন্য রাস্তা দিয়ে বার করিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। পুলিশের তরফে মানবশৃঙ্খল গড়ে বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। ভোটের জন্য নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় একটি বাড়িতে অস্থায়ী ভাবে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর সকাল থেকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারী বুথে বুথে ঘুরলেও, এক বারও দেখা মেলেনি মমতার। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নন্দীগ্রামের ইতিউতি বিক্ষিপ্ত অশান্তি দেখা দিলে, দুপুরে রেয়াপাড়ার ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন তৃণমূল নেত্রী।