অবৈধ কাঠ মজুতের অভিযোগে সোনাজয়ী স্বপ্নার পরিবারকে নোটিশ বনদপ্তরের

জলপাইগুড়ি: বাড়িতে বেআইনি কাঠ মজুত রাখার অভিযোগে এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী স্বপ্না বর্মনের পরিবারকে ৩০ দিনের নোটিশ ধরাল বনদপ্তর। সোমবার বিকেলে সূত্র মারফত খবর পেয়ে জলপাইগুড়ির কালিয়াগঞ্জে স্বপ্নার বাড়িতে অভিযান চালায় বনদপ্তর। অভিযানে বেশ কিছু কাঠ উদ্ধার হয় স্বপ্নার বাড়ি থেকে। বনদপ্তরের আধিকারিকরা স্বপ্নার পরিবারের কাছে মজুত কাঠের রশিদ দেখাতে বলেন। কিন্তু পরিবারের তরফে তৎক্ষণাৎ কোনও রশিদ দেখাতে পারেনি। কাগজ দেখাতে না পারায় বনদফতর তাদের ৩০ দিনের মধ্যে মজুত কাঠের কাগজ দেখানোর নোটিস জারি করে। যদিও এই বিষয়ে কোনও মুখ খুলতে চাননি স্বপ্নার পরিবারের সদস্যরা।

https://www.facebook.com/RNFNewsOfficial/videos/341226486871714/

অভিযান চলাকালীন স্বপ্না বর্মনের বাড়িতে উপস্থিত হন পাতকাটা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান প্রধান হেমব্রম। তিনি জানান বাড়িতে জ্বালানীর জন্য তিস্তায় ভেসে আসা কিছু কাঠ কিনেছিলো স্বপ্না বর্মনের পরিবার। খবর পেয়ে বনদফতর সেগুলু খতিয়ে দেখতে আসে। ঘটনায় টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্ত জানান, এই মুহুর্তে তারা কাঠের কাগজ খুঁজে পাচ্ছেনা। তাই আমরা তাদের বৈধ কাগজ দেখানোর জন্য ৩০ দিনের নোটিস দিয়েছি।

সম্প্রতি জলপাইগুড়ি পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢিং পাড়া এলাকায় একটি বাড়ি তৈরি শুরু করছেন স্বপ্না বর্মন। বনদপ্তরের বেলাকোবা রেঞ্জের কাছে খবর আসে ওই নির্মীয়মান বাড়িতে কিছু অবৈধ কাঠ মজুত করা হয়েছে। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে ঢিং পাড়ার ওই নির্মীয়মান বাড়িতে অভিযান চালান বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে একটি দল। বাড়িতে রাখা কাঠের কাগজপত্র দেখতে চান বনকর্মীরা।

সেইসময় স্বপ্ন বর্মনের পরিবার বাড়িতে মজুত থাকা কাঠের বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ। এরপর বন দপ্তর তাদের নিয়ম অনুযায়ী বৈধ কাজ দেখানোর জন্য ৩০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে পরিবারের হাতে একটি নোটিশ তুলে দেয়। একইভাবে মজুত থাকা কাঠকে বাজেয়াপ্ত করে তার বৈধ কাগজও দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই বিষয় কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি স্বপ্নার পরিবারের তরফে। বন্ধ করে রাখা হয়েছিল স্বপ্না বর্মনের বাড়ির গেট।

বন দপ্তরের অভিযানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রধান হেমব্রম। তিনি বলেন, তিস্তার জলে ভেসে আসা জ্বালানি কাঠ রাখা ছিল স্বপ্না বর্মনের বাড়িতে। বন দপ্তর ওই বাড়িতে এসেছিল। কাঠের বৈধ কাগজ দেখানোর জন্য বন দপ্তর ৩০ দিনের সময়সীমা বেধে দিয়ে একটি নোটিশ দিয়ে গিয়েছে পরিবারকে। কাঠগুলো নিয়ে গিয়েছে বনদপ্তর।