কলকাতা: চিন-ভারত সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। যদিও এটা প্রথম নয়, এর আগেও পুলওয়ামার ঘটনা নিয়ে হয়েছে রাজনীতি। বিগত একমাস ধরে চলা চিন এবং ভারতের উত্তেজনার মধ্যে গতকাল লাদাখ সীমান্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভারতের এক কর্নেল সহ তিন জওয়ান প্রাণ হারান। অপরদিকে চিনের পাঁচ জওয়ানের মৃত্যু হয় এবং ১১ জন আহত হয় বলে খবর।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এই বিষয়ে বলেছেন, ‘দুই দেশেরই উচিৎ আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা। দুই প্রতিবেশী দেশের আঘাত-প্রত্যাঘাতের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবেনা।‘
এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন কংগ্রেসের নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, ‘এবছর এপ্রিল মাস থেকে এখনো পর্যন্ত চিন তিনবার ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। এই ঘটনা খুব উদ্বেগজনক। চিনের সেনাবাহিনীর এই কাজের ফলে গোটা দেশ চিন্তিত এবং আতঙ্কিত, কিন্তু মোদী সরকার এই নিয়ে চুপ।‘
কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি বলেন, ‘বর্বর চিনের এই কাজ সহনীয় নয়। এবার সময় এসেছে চিনকে যোগ্য জবাব দেওয়ার। আমরা বদলা চাই।‘ পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীর নাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনার ৫৬ ইঞ্চি ছাতি দেখে মানুষ আপনাকে ভোট দিয়েছে। এবার সেই ছাতি দেখিয়ে চীনের বিরুদ্ধে বদলা নিন।‘
এর আগে রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন চিন ভারতের ৬০ কিমি ভিতরে ঢুকে বসে আছে আর মোদী সরকার জনতার সামনে সত্য কথা তুলে ধরছে না।