পূর্ব মেদিনীপুর: ঘূর্ণিঝড় চলে গেলেও পেছনে রেখে গিয়েছে ধ্বংসের গভীর ক্ষতচিহ্ন। গত ২৬ তারিখে আছড়ে পরেছিল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। দিনটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মানুষের কাছে একটি কালো দিন হিসেবে মনে রয়ে যাবে। ইয়াস ঝড়ের পর কেটে গেছে বেচ কয়েকটাদিন। এলাকার বহু মানুষ এখনও দিশেহারা। এখনও আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন একাধিক পরিবার। উপার্জনের পথ বন্ধ অনেকেরই।
সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার গোরী মৎস্যজীবিদের অবস্থা শোচনীয়। তাদের সমস্যার কথা ভেবে বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনের পাশাপাশি পুলিশও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। রবিবার মন্দারমনি থানার উদ্যোগে চাঁদপুর এলাকায় জলধা খটিতে ত্রাণসামগ্রী বিলি করা হল। এলাকার প্রায় ২৫০ জন মৎস্যজীবি এবং তাদের পরিবারগুলিকে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলেন কাঁথির সার্কেল ইন্সপেক্টার উদয় শংকর ঘোষ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্দারমনি থানার ওসি বিশ্বজিৎ মাইতি।
অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল ব্লকের মায়াচর দ্বীপে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নৌকোপথে ত্রাণ পৌঁছে দিল কোলাঘাটের সৃষ্টি ভ্রমণ সংস্থা। কোলাঘাট থেকে মায়াচরের পৌঁছে এলাকার অসহায় দু’শো মানুষগুলিকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। যদিও এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ঝড়ের পর থেকে চরম কষ্টে দিন কাটছে এলাকার বহু মানুষের। জেলার রামনগর ১ ও রামনগর ২ ব্লকের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় সেদিনের মুহুর্তের ঝড়ে সমুদ্রের ভয়াল তান্ডপে তছনছ হয়ে যায় অজস্র বাড়ি ঘর। নষ্ট হয়েছে চাষযোগ্য জমি, রাস্তাঘাট এমনকি মৎস্য জীবিদের নৌকোও।