লকডাউনের অভিজ্ঞতা নিয়ে শর্টফিল্ম, উদ্যোগ বেলাকোবার যুবকের

রাজগঞ্জ: করোনার জেরে গোটা পৃথিবীজুড়ে যেন লকডাউন ঋতু চলছে। পাল্টে গিয়েছে দৈনন্দিন জীবনের ছবিটা। একঘেয়েমি লকডাউনে কর্মব্যস্ত মানুষের লকড-ইন অভিজ্ঞতা নিয়েই তৈরি করা হয়েছে স্বল্প দৈর্ঘ্যের সিনেমা ‘১৯-এর গণ্ডী’। চিরাচরিত ধরাবাঁধা জীবনপ্রবাহের সঙ্গে তালাবন্ধ জীবনযাত্রার যথেষ্ট ফারাক রয়েছে। তারই চুলচেরা বিশ্লেষণ যেন ধরা পড়তে চলেছে এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের সাদাকালো সিনেমায়। এই লকডাউনে কেমন কাটছে কোয়ারান্টিন? ওয়ার্ক ফ্রম হোমের অভিজ্ঞতাই বা কেমন? একজন শিক্ষকের রোজকার রুটিনে কি কি পরিবর্তন এসেছে। কাজপাগল মানুষের ডেডিকেশনএও কী এর প্রভাব পড়েছে? এসব নানান চাল চরিত্র তৈরি করে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন জলপাইগুড়ির বেলাকোবার যুবক সুব্রত সরকার। তাঁর পরিচালনায় লকডাউনের মধ্যে একমাস সময় ধরে তৈরি করা হয়েছে স্বল্প দৈর্ঘ্যের এই সিনেমাটি। এর বৈশিষ্ট্য হল, সম্পূর্ণ সাদা ও কালো গ্রাফিক্সে ফুটিয়ে তোলা হবে ছবিটি। ফোকাস করা হয়েছে চরিত্রের হাত ও পায়ের অঙ্গভঙ্গিমার দিকে। ছবিতে থাকছে শিক্ষক, ছাত্রী, চাকুরীজীবির পাশাপাশি রোজকার সংসারে সদাই ব্যস্ত এক মায়ের চরিত্র।

ছবিটির পরিচালক সুব্রত সরকার জানিয়েছেন, মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয়েছে এই শর্ট ফিল্ম তৈরির কাজ। বন্ধু ও পরিচিতিদের সঙ্গে নিয়েই তৈরি করা হয়েছে ছবিটি। তবে কোনও একক চরিত্রকে তুলে ধরা উদ্দেশ্য নয় এই ছবির। এক একটি চরিত্রকে রূপক হিসেবে ধরে নিয়ে সম্পূর্ণ সমাজে সেই নামের মানুষগুলির জীবনযাত্রা কিভাবে প্রভাবিত হয়েছে সেটাই ফুটিয়ে তুলে ধরা হচ্ছে। এই সম্পূর্ণ উদ্যোগে পরিচালক সুব্রত সরকারের সঙ্গে রয়েছেন তাঁর বন্ধুরা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌভিক ভট্টাচার্য, পংকজ সরকার, শংকরী ভট্টাচার্য্য ও সুকন্যা দাস। সম্পাদনা করেছেন নিলয় বসু, গ্রাফিক্সে রয়েছেন পংকজ সরকার। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে এই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনয়নের জন্যও পাঠানো হবে এই ছবিটিকে। রোজকার ব্যস্ত জীবনের জীবনযাত্রার সঙ্গে লকড-ইন জীবনের পার্থক্য কতটা, তা ফুটে উঠবে এই শর্টফিল্মে।

Image may contain: text
ছবির পোস্টার