যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিভের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার সকাল থেকেই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। ভয়ে প্রথম দিন থেকেই ঘর ছাড়ছেন বহু মানুষ। রাশিয়ার বিমান হানায় বহু ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। চেরনোবিলের পারমাণবিক কেন্দ্রও রাশিয়ার দখলে চলে গিয়েছে বলে খবর। যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনেও দেশের রাজধানী কিয়েভেই থাকার সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কির। যুদ্ধ বিদ্বস্ত ইউক্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলি ঘুরে দেখছেন তিনি।
Real leader! Prezident of Ukraine,Volodymyr Zelenskyy #StandWithUkraine #StopRussianAggression #StopPutin pic.twitter.com/O0uu8c6O5I
— Rasim Abbasov (@abbasov_r6) February 25, 2022
Today at 10:30 am at the entrances to Chernihiv, Hostomel and Melitopol there were heavy fighting. People died. Next time I’ll try to move the war schedule to talk to #MarioDraghi at a specific time. Meanwhile, Ukraine continues to fight for its people.
— Володимир Зеленський (@ZelenskyyUa) February 25, 2022
যুদ্ধ শুরু হতেই দেশ ছাড়ছেন অনেকেই। পরিবারের বড়দের পক্ষে দেশছাড়া সম্ভব না হলে সন্তানদের সুরক্ষিত জায়গায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন। পরিবার আলাদা হতে দেখে কান্না চেপে রাখতে পারছেন স্বজনেরা। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে জনৈক ইউক্রেন সেনার বিদায় বার্তা। যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ছেলে ভিডিওতে জানাচ্ছে, ‘মা-বাবা তোমরা ভালো থেকো’। ছোট্ট মেয়ে তার বাবাকে ছেড়ে দেশ ছাড়ছে। মেয়েকে যেতে দেখে কান্না চেপে রাখতে পারছেন না বাবাও। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রিয়জনদের অনেককেই মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হচ্ছে।
ইউক্রেনের কঠিন সময়ে দেশের প্রতিটি নাগরিককে প্রতিরোধ গড়ে তোলার বার্তা দিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি। নিজের স্বাধীনতা ছাড়তে নারাজ সেদেশের নাগরিকরাও। তবে রাশিয়ার কাছে কি পেরে উঠবে ইউক্রেন? সেই প্রশ্নই ঘুরছে আন্তর্জাতিক মহলে। এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, রাশিয়ার বিরুদ্ধে সুর চড়ালে ফল হবে মারাত্মক। ইতিমধ্যেই দেশটির বেশকিছু প্রশাসনিক ভবনের দখল নিয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে দেশটিতে কম করেও ২০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া আটকে পড়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।