চিন সংঘর্ষ নিয়ে রাতে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

নয়াদিল্লি: লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনের সেনাবাহিনীর হামলায় অন্তত ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হয়েছেন। এই নিয়ে মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিথারমন এবং সামরিক প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে রাত দশটায় বৈঠকে বসেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৩ জন চিনের সেনা নিহত বা গুরুতর আহত হয়েছেন। যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।

মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় সেনার এক কর্নেল এবং ২ জওয়ানের শহীদ হওয়ার ঘটনার পর উভয়পক্ষের হতাহতের খবর আসে। এই সংঘর্ষ নিয়ে ভারত দাবি করে তাঁদের সেনারা ভারত-চিন সীমান্ত অতিক্রম করেনি। চিনা সেনাই ভারতীয় সেনার ওপর আক্রমণ করেছে। ভারতীয় সেনা এএফপিকে জানিয়েছে, এই ঘটনায় কোনও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। সেনারা একে অপরকে ঘুষি ও পাথর দিয়ে আঘাত করেছে এবং সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় লড়াই চলে। চিনা সৈন্যরা রড এবং পেরেক-স্টাড ক্লাব ব্যবহার করেছে বলে খবর। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নিশ্চিত করেছে, এই ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে তাঁরা এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

পুরো বিষয়ে আমেরিকা শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রত্যাশা দেখিয়েছে। জাতিসংঘ উভয়পক্ষকে সংযমী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বেজিং দাবি করেছে, ভারতীয় সেনারা দু’বার সীমানা অতিক্রম করে চিনা সেনাদের উত্যক্ত করে এবং পরে আক্রমণ করে। ফলে উভয়পক্ষের সীমান্তবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব চিনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সীমান্তে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার জন্য চিনাপক্ষই এই সংঘর্ষের সূচনা করেছে। প্রসঙ্গত, গত ৯ মে থেকে উত্তেজনা চলছে লাদাখ সীমান্তে।