স্কুলের ১০ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল! পরীক্ষা নিচ্ছেন টিউশন মাস্টাররা

মালদা: চাকরি বাতিলের জের! স্কুলের মোট ৩৯ জন শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে মোট ১০ জনই নেই! স্কুলেও এখন পরীক্ষা চলছে। ৮ শিক্ষক শিক্ষিকা এবং দুই শিক্ষাকর্মী স্কুলে না আসায় ব্যাপক প্রভাব পড়ছে ক্লাসরুমে।  সেই দায়িত্ব দেখবেন কারা?

অগত্যা শিক্ষক-শিক্ষিকার বদলে ভোকেশনাল শিক্ষক এবং হোস্টেলের টিউশন মাস্টারদের ডেকে পাঠাল স্কুল। শিক্ষক-শিক্ষিকা অভাবে ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষা নিতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা স্কুল ম্যানেজমেন্টের। ছবিটা উঠে এল মালদার পাকুয়াহাট আনন্দ নিকেতন মহাবীর হাইস্কুল থেকে। প্যানেল বাতিলে ১০ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যাওয়ার পর চোখে অন্ধকার দেখছেন স্কুলের হেড মাস্টার।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষক শিক্ষিকা অভাবে ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষা নিয়ে হিমশিম অবস্থা। আমি নিজেও পরীক্ষার হলে ডিউটি করছি। কিভাবে যে পড়ুয়াদের পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। তাই ভোকেশনাল শিক্ষক, শিক্ষা কর্মী ও হোষ্টেলর টিউশন শিক্ষক মোট ১০ জনকে নিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার কাজ করতে হচ্ছে।’

শিক্ষা দপ্তরে অভিযান

দুর্নীতি দুর্নীতি দুর্নীতি! আর কত? চাকরি বাতিলের পরই কার্যত রনংদেহী যোগ্য শিক্ষিক-শিক্ষিকারা। তারই প্রতিফলন দেখছেন আপনরা। এবার ডিআই অফিসে তালা মেরে বিক্ষোভ চাকরি হারাদের। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। বাধা দিতেই পুলিশের সঙ্গেও ব্যাপক ধস্তাধস্তি চাকরি হারাদের।

এমন ঘটনা ঘিরে আজ সকাল থেকেই চরম উত্তেজনা মালদার ডিআই অফিসে। শিক্ষা দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মী মঞ্চের সদস্যেরা। এদিন শতাধিক চাকরিহারা তরুন, তরুনীরা মিছিল করে জেলা শিক্ষা দপ্তরের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়ে বলে অভিযোগ।

শিক্ষা দপ্তরের ভেতরে ঢুকেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চাকরিহারা প্রার্থীরা। সেই সময় পুলিশের সাথে ঘস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। রীতিমতো চরম উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হয় জেলা শিক্ষা দপ্তর চত্বরে। রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দপ্তরের ভূমিকা নিয়েও এদিন প্রতিবাদে সোচ্চার হোন চাকরিহারা প্রার্থীরা। পাশাপাশি পুলিশি বাঁধার মুখে প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা শিক্ষা দপ্তরের সামনেই অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন প্রতিবাদীরা।

About The Author