নতুন বছর শুরু হতে না হতেই ইতিহাসের ভয়াবহ দাবানলের সাক্ষী যুক্তরাষ্ট্র। চোখের সামনেই পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লস এঞ্জেলস। দমকল থেকে হেলিকপ্টার, আগুন নেভাতে শত চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে প্রাকৃতিক এই ঘটনা। এদিকে হলিউডে পৌঁছেছে আগুন। বেশ কিছু তারকার বাড়িও সেই আগুনের গ্রাসে চলে গেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই ঘটনায় অন্তত দশ হাজার ঘরবাড়ি, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, পরিকাঠামো, সব পুড়ে ছাই হয়েছে। সেই সঙ্গে বহু পশুপাখি সমেত ১০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই আগুনে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলার। এক লক্ষ আশি হাজার অধিবাসীদের সড়িয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। চোখের সামনেই চোখ ধাঁধানো বাড়ি গাড়ি সব পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। জল, আলো বন্ধ। স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল কিছুই আর সেখানে চলছে না।
কিভাবে লাগলো এই আগুন?
জানা গেল, গত মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে এই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা শহরে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত এই অঞ্চলে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। ফলে আগুন আরো ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেখানে অতিরিক্ত আদ্রতা জলবায়ু পরিবর্তন এবং হাওয়ার মারাত্মক (ঘণ্টায় ১২০ কিমি) গতিবেগের কারণে শুকনো গাছপালায় আগুন লাগে এবং তারপর সেই আগুন ধীরে ধীরে গোটা শহরে ছড়িয়ে পড়ছে। সান্টা আনা বায়ু যা শরৎকালে এবং শীতকালে ক্যালিফোর্নিয়া দেখা যায়, সেই শুষ্ক বাতাস এই আগুনকে আরো বেশি করে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
লস এঞ্জেলসে মূলত পাঁচটি জায়গায় অগ্নিকাণ্ড হয়েছে – হার্টস, লিদিয়া, সানসেট, প্যালিসেড এবং ইটনি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বাইডেনের সরকারকে দুষছেন ট্রাম্প।