নয়াদিল্লি: হঠাৎ করে জিভের স্বাদ চলে যাওয়া বা ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলাকেও এবার করোনার উপসর্গের মধ্যে শামিল করল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার করোনার উপসর্গ নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে জ্বর, কাশি, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, শ্লেষ্মা নির্গমণ, পেশীর যন্ত্রণা, গলা ব্যথা, নাক থেকে জল পড়া, ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া অথবা জিভের স্বাদ চলে যাওয়া করোনা আক্রান্তের লক্ষণ হতে পারে।
এর আগে মে মাসেই ব্রিটেন ও আমেরিকা এই উপসর্গগুলি করোনা সক্রমনের তালিকায় সামিল করে। যদিও ভারতে এখনও এমন কোনও রোগীর সন্ধান মেলেনি। গত শনিবার কোভিড পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে আলোচনা হয়। সেখানেই এই নয়া দুই উপসর্গকে করোনার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ধরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
করোনা নিয়ে এ দিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে নয়া নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে হাঁচি, কাশি এবং কথা বলার সময় মুখ থেকে নির্গত ড্রপলেটের মাধ্যমেই মূলত এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ ছড়ায়। এমনকি মাটিতে বা অন্য কোনও জায়গায় ড্রপলেট এসে পড়লে তাতেও ভাইরাস অনেকক্ষণ থাকে। সেই অবস্থায় কেউ ওই জায়গাটিকে স্পর্শ করে চোখ, নাক, মুখে হাত দিলে তা থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
এছাড়াও আক্রান্তদের শুরুতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া যেতে পারে। পরে রোগ আরও জটিল হলে রেমডিসিভির অথবা টোসিলিজুমাব। কিন্তু কোনওভাবেই চিকিৎসার কোনও স্তরে রোগীকে অ্যাজিথ্রোমাইসিন দেওয়া যাবে না। আপাতত এই পথেই করোনা চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নয়া নির্দেশিকায় স্বাস্থ্যমন্ত্রক স্পষ্ট উল্লেখ করেছে, করোনা আক্রান্ত যাঁদের বয়স বেশি এবং অবস্থা স্থিতিশীল নয়, তাঁদেরও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে চিকিৎসককে রোগীর ইসিজি রিপোর্ট দেখা নেওয়া জরুরি।