জলপাইগুড়ি: ‘নির্দল’ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রেখে আগামী ১৩ মার্চ অভিষেক ব্যানার্জী ও ‘টিম পিকে’র বৈঠকে কলকাতা যাচ্ছেন তৃণমূলের এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাস। আগামী ১২ মার্চ কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি। ১৩ মার্চ তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁর।
রাজগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার পরই চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজগঞ্জের অন্যতম পরিচিত তৃণমূলের মুখ কৃষ্ণ দাস। তাঁর সমর্থকদের দাবি, কৃষ্ণ দাসই একুশের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থীর সেরা দাবিদার ছিলেন। কিন্তু তাঁকে দলের টিকিট না দেওয়ায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং কৃষ্ণ দাস এবং তাঁর অনুগামীরা।
গত শুক্রবার বিকেলে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরপরই তিনি ঘোষণা করেন রাজগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলকে সমর্থন করি তিনি নির্দল হয়ে লড়বেন এবং রাজগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র নিজের হস্তগত করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে উপহার হিসেবে দেবেন। তার দাবি তিনি এলাকার মানুষের জন্য প্রচুর কাজ করেছেন। সেই হিসেবে তাঁকেই এবারের নির্বাচনে দলের হয়ে প্রার্থী করার কথা ছিল।
তবে সেই আশা পূরণ না হওয়ায় রবিবার থেকেই তাঁর বিপুল সমর্থকদের নিয়ে পথে নামতে চাইছিলেন তিনি। রবিবার সেই কর্মসূচি পালিত না হলেও ব্লকের সব অঞ্চলের সমস্ত সমর্থকদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা হয় কৃষ্ণ দাসের বাসভবনে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী ১৩ মার্চ কলকাতায় অভিষেক ব্যানার্জি এবং টিম পিকে’র সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এরপরই হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। এখনও পর্যন্ত তাঁর নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জননেতা হিসেবে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে একাই ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কৃষ্ণ দাস। শুক্রবারের ঘোষণার পর রবিবার কর্মসূচী না হলেও কৃষ্ণ দাসের বাসভবনে একটি আভ্যন্তরীণ সভা হয়। এই সভায় হাজির হন প্রায় ৫ হাজার মানুষ। তাদের প্রত্যেকেরই দাবি তারা কৃষ্ণ দাসকেই MLA পদে দেখতে চান। আগের দলের তরফে তিনি সবুজ সংকেত পান কিনা সেটাই এখন দেখার। যদিও কৃষ্ণ দাস তার বিপুল জনসমর্থনের ওপর ভরসা করেই ভাবি সিদ্ধান্ত নেবেন বলে খবর।