জলপাইগুড়ি: তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রবল জনসমর্থন তৈরি করার পরও তাঁকে প্রার্থী করেনি দল। তাঁর কেন্দ্র রাজগঞ্জ বিধানসভায় বর্তমান বিধায়ক খগেশ্বর রায়কেই প্রার্থী করেছে দল। তাতে থোড়াই কেয়ার। এবারের ভোটে নির্দল হয়ে লড়বেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষ্ণ দাস। এই বিধানসভা কেন্দ্র নিজের ক্ষমতায় জিতে মমতা ব্যানার্জিকে উপহার দেবেন তিনি। রবিবার থেকেই শুরু হচ্ছে নতুন কর্মসূচি। এমনই সিদ্ধান্ত কৃষ্ণ দাসের।
শুক্রবার দুপুরে একুশের নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। রাজগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে অনেক জল্পনা-কল্পনার পর প্রার্থী করা হল খগেশ্বর রায়কে। এই সিদ্ধান্তে বেজায় অসন্তুষ্ট ‘কৃষ্ণদা’। তৃণমূলের প্রার্থী খগেশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘খগেশ্বর রায় হল অনুন্নয়নের প্রতীক, বদ্ধ মাতাল এবং তার বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনেরও অভিযোগ রয়েছে।’ এমন একজনকে প্রার্থী করায় তিনি অসন্তুষ্ট।
যদিও এই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্যতম জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। অন্যদিকে রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় তার বিধায়ক হিসেবে এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজের ওপরই নির্ভর করে এবারের ভোটে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। দুপুরে মমতা ব্যানার্জির ঘোষণার পরই সমস্ত জল্পনা ভেঙে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা হয় খগেশ্বর রায়ের।
এই খবরে কৃষ্ণ দাসের অনুগামীরা তথা রাজগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের একটা বিরাট অংশের চমক ভাঙ্গে। নাম ঘোষণার পরই নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তবে কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কৃষ্ণ দাস? যদিও সন্ধ্যার মধ্যেই সেই জল্পনাতেও জল ঢেলে কৃষ্ণ দাস জানান, তিনি নির্দল হিসাবে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন এবং এই বিধানসভা কেন্দ্র নিজের হস্তগত করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে উপহার দেবেন। আগামী রবিবার থেকেই নতুন কর্মসূচি শুরু হচ্ছে কৃষ্ণ দাসের।
রাজ্যের ২৯১টি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল পদপ্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কিছুদিন আগেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন টলিপাড়ার এক ঝাঁক তারকা। প্রার্থী তালিকা তাদের প্রায় প্রত্যেকেরই নাম রয়েছে। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় ৫০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী রয়েছেন, সংখ্যালঘু প্রার্থী রয়েছেন ৪২ জন, এসসি প্রার্থী রয়েছেন ৭৯ জন, এসটি প্রার্থী রয়েছেন ১৭ জন। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ বিধানসভা কেন্দ্রে ভরসা রেখেছেন সেই পুরনো মুখগুলিতেই।