জলপাইগুড়ি: এবার প্রথম পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়া কাজ চলছে ক্রান্তি বিডিও অফিসে। শনিবার সেখানে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে এসে ক্ষোভের মুখে পড়লেন জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়। বিডিও-র সঙ্গে কথা বলে যখন তিনি অফিস থেকে বের হচ্ছিলেন সেইসময় সাংসদকে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন এলাকার কয়েকজন। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থকরা এই কাণ্ড করেছেন। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ত্রিনমু। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ চটজলদি পদক্ষেপ নেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
তৃণমূল ব্লক সভাপতি মহাদেব রায় বলেন তিনি বা তার দলের কেউ তাকে দেখে গো ব্যাক স্লোগান দেয়নি। নির্বাচিত সাংসদ ভোটে নির্বাচিত হওয়ার একটি বারও এলাকায় আসেননি। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দিন এসে পরিস্থিতি জটিল করার জন্য উনি এখানে আসায় স্থানীয় মানুষজন তাকে দেখে গো ব্যাক স্লোগান দিয়েছেন। নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরেই তিনি গন্ডগোল পাকানোর জন্য এখানে এসেছিলেন। এলাকার শান্তিকামী মানুষ অশান্তি চায়না বলেই তারা ওনাকে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়েছেন বলে জানান মহাদেববাবু।
এপ্রসঙ্গে সাংসদ ও মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি দীপা বণিক বলেন, নির্বাচিত একজন সাংসদের সঙ্গে শাসক দলের কর্মীরা আজকে যে আচরণ করলেন সেটা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবেন বলে জানান তারা। তবে মনোনয়ন প্রক্রিয়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। মাল কংগ্রেস সভাপতি যোগেন সরকার জানালেন, ক্রান্তি বিডিও অফিসে এবার প্রথম পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়া কাজ চলছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে হওয়ায় তিনি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।