জেলাতেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি। আসছে মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজ্যে বাড়বে মৃতের সংখ্যা। জলপাইগুড়িতেও আগামী দিনে করোনার প্রকোপ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ওএসডি সুশান্ত রায়ের। আগামী ১৫ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত এই সংখ্যার আরও বৃদ্ধি ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এপর্যন্ত রাজগঞ্জ ব্লকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। মৃত্যু বেড়েছে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায়। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের, জলপাইগুড়ি পুরসভার এলাকায় ৫১ জন। রাজগঞ্জ ব্লকের ৩০ জন, ময়নাগুড়িতে ২৬ জন, ধুপগুড়ি ১৫, ওদলাবাড়ি ২৪, মাটিয়ালি ৫, নাগরাকাটা ৫, ধুপগুড়ি পুরসভা এলাকার ৬, মাল পুরসভা এলাকায় ২৪, শিলিগুড়ি পুরসভায় এলাকায় ৬৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। অজ্ঞাত ৫। এনিয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ২৭৬ জনের।
ওএসডি সুশান্ত রায় জানালেন, ব্লকে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা! জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকা থেকে সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের হদিস মিলেছে। সংক্রমিতর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি, এমন জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন গড়ে তোলা হবে।
শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে সাংবাদিক বৈঠক করেন ওএসডি। সেখানে তিনি জানান, ভোটগণনা হয়ে গেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এবং মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের প্রত্যেকটিতে একটি করে অক্সিন কনসেনট্রেটর বসানোর কাজ শুরু হয়েছে এবং আগামী এক মাসের মধ্যে তা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি। তবে জেলায় আচমকা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য নির্বাচনী মরসুমে ভিন্ রাজ্য থেকে আসা রাজনীতিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর আনাগোনাকে ও সমাবেশকেই দায়ী করেছেন ওসএসডি।