পাকিস্তানের ড্রোন হামলাকে ঠেকিয়েছিল ভারতের সুদর্শন চক্র; এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ। তবে আরও সস্তায়, আর দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই লেটেস্ট অস্ত্র খুব সহজে ড্রোন হামলা রুখতে পারবে এবার।
এবার শত্রুদের ড্রোন ধ্বংস করতে ভারতের হাতে এল কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম, ভার্গব-অস্ত্র। বুধবার সেই অস্ত্রের পরীক্ষা হল সফলভাবেই। এই কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসা ড্রোনকে ধ্বংস করবে এক নিমেষে। জানা গিয়েছে, আড়াই কিলোমিটার দূর থেকে শত্রু ড্রোনকে চিনে ফেলে মোক্ষম আঘাত হানবে এই ক্ষেপণাস্ত্র।
এমনকি, ৫ হাজার মিটার উচ্চতাতেও এই কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম মোতায়েন করা যাবে। আর এই সিস্টেমে যে মাইক্রো রকেটগুলি ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত কম খরচে দেশীয় ডিজাইনে তৈরি। ইতিমধ্যেই সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে জানা গেল, মঙ্গলবারই ওড়িশার গোপালপুরে এই অস্ত্রের তিনবার ট্রায়াল হয়েছিল।
প্রথম দুটি ট্রায়ালে একটি করে রকেট পরীক্ষা করা হয়। শেষ ট্রায়ালে মাত্র দুই সেকেন্ডের ব্যবধানে পরপর দুটি রকেট ছোড়া হয়। প্রতিটি রকেটই ড্রোন ধ্বংস করতে সফল। প্রসঙ্গত, ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হওয়ার পর, এখনও দুশ্চিন্তার মেঘ কাটেনি। যখন তখন ফের লেগে যেতে পারে দুই দেশের মধ্যে।
এদিকে, যুদ্ধ বিরতি ঘোষিত হলেও এখনই গড়াচ্ছে না সিন্ধু নদীর জল। ভারতের তরফে স্পষ্ট বক্তব্য, রক্ত আর জল, একসঙ্গে বইতে পারে না। যতদিন না পাকিস্তান, জঙ্গি নিকেশে আর POK নিয়ে আলোচনা করবে না, ততদিন পর্যন্ত সিন্ধু নদীর জল গড়াবে না। অর্থাৎ আপাতত বন্ধই রাখা হচ্ছে সিন্ধুর জল চুক্তি। জানা গেল, ইতিমধ্যেই পাকিস্তান এই ব্যাপারে ভারতকে দ্বিতীয়বার ভেবে দেখার অনুরোধ করেছে।
তবে তাতে কর্ণপাত করতে রাজি নয় নয়াদিল্লি। এদিকে, সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কার্যত বুঝিয়েই দিয়েছিলেন যে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার সম্ভাবনা নেই। মোদি সাফ বলেছিলেন, ‘সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে হতে পারে না। সন্ত্রাস ও বাণিজ্যও একসঙ্গে হতে পারে না। জল ও রক্ত একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।
প্রসঙ্গত, সিন্ধুর পাশাপাশি আরও কয়েকটি নদীর স্রোত আটকে রেখেছে ভারত। হ্যা, তবে মাঝে মধ্যেই বাড়তি জল ছাড়তে যখন তখন গেট খুলে দেওয়া। আবার তা বন্ধ করে দেওয়া হয় নিজের মর্জি মত। ভারতের স্পষ্ট বক্তব্য, জঙ্গিবাদ বন্ধ হলে তবেই সিন্ধুর জল ছাড়া হবে। তার আগে নয়।