ভারতের ‘কূটনৈতিক চাপে’ অবশেষে বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউকে মুক্ত করল পাকিস্তান। বুধবার সকাল ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পর সাড়ে ১০টায় আর্টারি সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরে আসেন পূর্ণম।
জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, পহেলগাঁও হামলার পরদিন অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল ভুল করে পাক ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। সেই থেকে পাক সেনার হাতে বন্দি ছিলেন হুগলির পূর্ণমকুমার সাউ। স্বামীর খোঁজে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী গিয়েছিলেন বিএসএফের হেড কোয়ার্টারেও। আশ্বাস নিয়ে ঘরে ফিরলেও আতঙ্ক ছিলই। ৭ মে অপারেশন সিঁদুরের পর কার্যত স্বামী ফেরার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন রজনী।
অবশেষে বুধবার সকালে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পর পূর্ণমকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। এদিন পাঞ্জাবের আটারি সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরেন হুগলির জওয়ান। যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে পাঠানো হবে পূর্ণমকে।
প্রসঙ্গত, ভুলবশত অন্য দেশের ভূখণ্ডে সেনা ঢুকে পড়তে নিয়ম অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে হয় তাঁকে। কিন্তু এক্ষেত্রে নিয়ম তো মানেইনি, উলটে একাধিক ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পরও পাক সেনারা তাঁকে ছাড়তে রাজি হচ্ছিল না। যা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি ভারত। এদিন সাফ জানানো হয়েছে, পরবর্তীতে আবার এমন কোনও ঘটনা ঘটলে কড়া পদক্ষেপ হবে।

