‘পিকে’র টাকা খেয়ে প্রার্থী করেছে জেলা সভাপতি!’ প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ

জলপাইগুড়ি: পিকের টিম এবং মমতা ব্যানার্জী’র কাছ থেকে টাকা খেয়ে প্রার্থী প্রস্তাব করেছে বিজেপির জেলা সভাপতি, এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন রাজগঞ্জের বিজেপি নেতৃত্বদের একাংশ। শুক্রবার দুপুরে বেলাকোবা বটতলায় বিজেপির পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তাদের কথায় অযোগ্য ব্যক্তিকে প্রার্থী করেছে জেলা নেতৃত্ব। প্রার্থী বদল না করা হলে তাদের এই আন্দোলন থামবে না।

স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবাশীষ দে জানান, একজন অযোগ্য ব্যক্তিকে এলাকার BJP প্রার্থী করা হয়েছে। এমন প্রার্থী দিয়ে এলাকায় বিজেপি জিততে পারবে না। রাজগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রধানত বিজেপির উত্তর মন্ডল এবং পূর্ব মন্ডলের নেতাকর্মীরা প্রার্থী বদল এর দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। রাজগঞ্জ বিধানসভার যেকোনও পরিচিত মুখকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন তারা।

যদিও এ নিয়ে রাজগঞ্জ দক্ষিণ মন্ডলের বিজেপি নেতাদের কোনও অভিযোগ মেলেনি। দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা। দক্ষিণ মণ্ডলের যুব নেতা সনাতন ভৌমিক বলেন, ‘দলের ওপরে কেউ নয়। দলের সিদ্ধান্তই আমাদের সিদ্ধান্ত। দল যেমনটা বলবে, তেমনটাই হবে।’

এদিকে জেলা বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামীর বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ তুঙ্গে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, মমতা ব্যানার্জি এবং টিম পিকের কাছ থেকে টাকা খেয়ে এমন অযোগ্য লোকেদের প্রার্থী করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কোনওভাবেই মেনে নেয়া হবে না। অবিলম্বে প্রার্থী বদলের দাবি জানিয়েছেন প্রত্যেকে। জলপাইগুড়িতে প্রার্থী বদল এর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন দলীয় কর্মীদের একাংশ।

তারা চাইছেন, রাজগঞ্জ বিধানসভা এলাকার কাউকে প্রার্থী করুক বিজেপি। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণার পরপরই উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় দলীয় অসন্তোষের খবর মিলেছে। জলপাইগুড়ি পার্র্টি অফিসে আগুন লাগান দলেরই কর্মীরা। অন্যদিকে রাজগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণার পর ক্ষোভ তৈরি হয় রাজগঞ্জের কয়েকটি মন্ডলে। সন্ধ্যার পর কুশপুতুল জ্বালিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্বরা।