পূর্ব মেদিনীপুর: আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে গিয়ে ফের বাধার মুখে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নন্দকুমারের কাছে হলদিয়া-মেচেদা জাতীয় সড়কে বিজেপির রাজ্য সভাপতির গাড়ি আটকায় পুলিশ। তাঁদের দাবি, দিলীপ ঘোষ পূর্ব মেদিনীপুরে গেলে জেলার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। রাজ্য সভাপতির পথ আটকানোর প্রতিবাদে তমলুকে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন বিজেপি কর্মীরা। সবমিলিয়ে রবিবার সকাল থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এদিকে দিলীপ ঘোষের পথ আটকানোয় প্রচুর মানুষের ভিড় জমে যায়। ফলে সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ ভাঙা হয় বলেও অভিযোগ।
আমফানের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। হলদিয়া, কাঁথি-সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ বিলি করতে যাচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ। হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের রাস্তায় ধরতেই শ্রীকৃষ্ণপুরে তাঁর রাস্তা আটকায় পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরে যেতে বারন করা হয় তাঁকে। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে সেখানে আটকে রাখা হয়। এর প্রতিবাদে তমলুকের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এপ্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, “লকডাউনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি আমার নিজের সংসদীয় এলাকায় যাচ্ছি। এলাকা ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করে ত্রাণ বিলি করতে চাই। কিন্তু পুলিশ রাস্তা আটকে বলছে যাওয়া যাবে না। আমার নিজের সংসদীয় এলাকায় গেলে নাকি আইন-শৃঙ্খলা নষ্ট হবে।” তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, যে এলাকায় দিলীপ ঘোষকে যেতে বারন করা হয়েছে, তা মোটেও বিজেপি সাংসদের নিজস্ব সংসদের এলাকার মধ্যে পড়ে না। তিনি আরও বলেন, “রাজনীতির চেষ্টা না করে সকলে মিলে বিপর্যস্ত এলাকায় সাহায্যের হাত বাড়ানো উচিত। কেউ কেউ রাজনীতির স্বার্থেই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ঝামেলা তৈরি করছেন।”