কফিনবন্দি হয়ে ঘরে ফিরল ছেলে, গান স্যালুটে শেষকৃত্য, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া

কফিনবন্দি হয়ে ঘরে ফিরল ছেলে, গান স্যালুটে বিদায়। গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া। বীর সন্তানের কফিন বন্দি দেহ গ্রামে ঢুকতেই গ্রামবাসীদের চোখের বাঁধ ভেঙে যায়। আট বছরের পুত্রকে নিয়ে ডুকরে ওঠেন স্ত্রী তাপসি। বৃদ্ধা মা প্রমিলা রায় সন্তান শোকে আকুল হয়ে গিয়েছেন। বুধবার দিল্লি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে আনা হয় জওয়ানের মরদেহ। বিমানে সঙ্গে ছিলেন দাদা পরেশ রায়। বাগডোগরাতে নেমে শিলিগুড়ি থেকে সেনাবাহিনীর কনভয়ে করে ধূপগুড়ির পশ্চিম শালবাড়িতে আনা হয়। সেখানে বিকেলে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

কাশ্মীরে সিআরপিএফের কনভয়ে জঙ্গিদের হামলায় গুরুতর জখম ধূপগুড়ির জওয়ান জগন্নাথ রায় অবশেষে শহীদ হয়েছেন। গত সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাঁর শহীদ হওয়ার কথা পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়। তাঁর মৃত্যুর খবর শোনার পর পশ্চিম শালবাড়ির বাড়িতে কান্নার রোল ওঠে। শনিবার শহীদ জওয়ানের দাদা, শ্যালক সহ পরিবারের তিন সদস্য জগন্নাথকে দেখতে পৌঁছে যান হাসপাতালে। সেখান থেকে বাড়ির সদস্যরা জানতে পারেন চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। তবে সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যুর খবর সেনাবাহিনী সূত্রে জানানো হয়। সেন্ট্রাল কাশ্মীরের শ্রীনগর-বারমুল্লা জাতীয় সড়কের উপর লাওয়াপোরোতে সিআরপিএফ এর ৭০ নং ব্যাটেলিয়ন এর কনভয়ের ওপর গত ২৫ শে মার্চ জঙ্গিদের হামলায় শহীদ হন ২ জওয়ান এবং গুরুতর আহত হন ৩ জন।

এরমধ্যে জগন্নাথ রায় নামে ধূপগুড়ি ব্লকের পশ্চিম শালবাড়ি গ্রামের জওয়ান ছিলেন সেই কনভয়ে। জওয়ান সহ আরো এক জওয়ানের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাদের বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। জগন্নাথের বাবা গত হয়েছেন অনেক আগেই। ষাটোর্ধ্ব মা প্রমীলা রায়, দাদা, বৌদি, ভাইপো ও স্ত্রী সহ এক পুত্র সন্তান রয়েছে জগন্নাথের। আজ সকালে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছলো শহীদের নিথর দেহ। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় শহিদকে সিআরপিএফ কাওয়াখালী ক্যাম্পে। বাগডোগরা বিমানবন্দর এবং সিআরপিএফ কাওয়াখালী ক্যাম্পে শহীদকে সম্মান জানান আধিকারিকরা। এরপর নিথর দেহ বাড়ির উদ্দেশ্যে নিয়ে যান সিআরপিএফের কর্মী এবং আধিকারিকেরা।পরে জগন্নাথ রায়ের নিথর দেহকে নিয়ে আসা হয় তার নিজগৃহে।