দিল্লি গেলেন না মুখ্যসচিব, ব্যবস্থা নেওয়ার পথে মোদি সরকার

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী সোমবার সকালে নয়াদিল্লিতে পৌঁছানর কথা থাকলেও দিল্লি যাননি রাজ্যের মুখ্যসচিব। তার বদলে তিনি গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক সদর দপ্তর নবান্নে। দিল্লিতে যাচ্ছেন না আলাপন সে কথা দীর্ঘ চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, কেন্দ্রের আলাপনকে বদলির নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আর্জিও জানান তিনি। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, আলাপনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। এই পদক্ষেপের পর আরও তীব্র হল কেন্দ্র-রাজ্য সঙ্ঘাত।

সম্প্রতি মুখ্যসচিব পদে আলাপনের কাজের মেয়াদ তিন মাস বাড়াতে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল নবান্ন। রাজ্যের সেই প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছিল দিল্লিও। কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকের সময় মুখ্যসচিব আলাপনের ‘আচরণ’-এর কারণেই তাঁকে দিল্লিতে বদলির সিদ্ধান্ত বলে অসমর্থিক সূত্রের খবর। কারণ, আলাপনকে বদলির কোনও সরকারি কারণ জানানো হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর, আলাপন ওইদিন প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে না থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চলে গিয়ে ‘প্রটোকল’ ভেঙেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তার জেরে দিল্লিতে তলব করে কেন্দ্র। তবে শেষমেশ দিল্লি গেলেন না আলাপন। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

রাজ্যে ইয়াসের জেরে ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে এসে গত শুক্রবার কলাইকুন্ডা বিমানবন্দরে পর্যালোচনা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী এবং আলাপনের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করলেও দু’জনই দিঘার প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে চলে আসেন। ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আলাপনকে দিল্লিতে বদলির চিঠি পাঠায় কেন্দ্র। আলাপনের বিরুদ্ধে কেন্দ্র কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়। নিলেও সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকার পাল্টা কী করেন।