নয়াদিল্লি: চতুর্থ দফার পর এবার পঞ্চম দফা। লকডাউনের মেয়াদ আরও একবার বাড়তে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। খুব শীঘ্রই এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৩০ মে রবিবার লকডাউনের চতুর্থ দফা শেষ হওয়ার কথা। সূত্রের দাবি ‘মন কি বাত’ বেতার অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লকডাউনের পঞ্চম দফার বিধি নিষেধ ও শিথিলতা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। দেশবাসীর লকডাউন মেনে চলার মনোভাবকে উৎসাহিত করতে বিশেষ কিছু বার্তাও ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে আলাদা করে পঞ্চম দফার লকডাউনের নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করে রাজ্যে রাজ্যে নির্দেশিকা পাঠানো হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের পঞ্চম দফায় ভারতের অধিকাংশ স্থানেই শিথিলতা থাকবে। তবে লকডাউনের কড়াকড়ি থাকবে দেশের ১১টি প্রধান শহরের ওপর। এই ১১টি শহর হল, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, পুনে, থানে, ইন্দোর, চেন্নাই, আহমেদাবাদ, জয়পুর, সুরাত এবং কলকাতা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, ভারতের মোট করোনা আক্রান্তের ঘটনা এবং এই সংক্রান্ত গতিবিধির ৭০ শতাংশই এই ১১টি শহরকে ঘিরে। এই শহরগুলিতেই আগের মতোই ১ জুন থেকে লকডাউনের বিধিনিষেধ জারি থাকবে।
যদিও দেশের বেশিরভাগ স্থানেই বিমান-ট্রেন-বাস পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। এই রাজ্যেও বুধবার থেকে চালু হয়েছে বাস পরিষেবা। দেশের বাকি অংশে লকডাউন পঞ্চম দফায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা শোনা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ধর্মীয় স্থানগুলিতেও জনসমাগমের জন্য অনুমতি দেওয়া হতে পারে। তবে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হতে পারে। মেলা ও উৎসবের মতো অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে। মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্বের বিধি মানা বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। লকডাউনের এই দফায় সেলুন ও জিমগুলিকে খোলার অনুমতিও দেওয়া হতে পারে। তবে স্কুল-কলেজসহ কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা নেই।