চুরির দায়ে কেরালার শ্রীঘরে রাজগঞ্জের ২ যুবক

রাজগঞ্জ: মোবাইল ও টাকা চুরির দায়ে এলাকার ২ যুবককে কেরালার শ্রীঘরে পাঠাল রাজগঞ্জের অন্য ৩ যুবক। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চল থেকে কেরালায় কাজ করতে গিয়ে মোবাইল এবং নগদ টাকা চুরি করার অভিযোগে শ্রীঘরে ঠাঁই পেল রাজগঞ্জের ২ যুবক, সাগর আলি এবং ইসমাইল আলি। বাড়ি রাজগঞ্জের ক্ষুদিভিটা অঙ্গদগছ এবং গাডরা এলাকার কুয়ালিগছে। রাজগঞ্জের প্রধানপাড়া অঞ্চলের অন্য ৩ যুবক এবং কোচবিহারের আরও ৩ যুবকের ৬টি মোবাইল এবং নগদ ৩৩ হাজার টাকা অভিযুক্ত দুই যুবক চুরি করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় স্থানীয় ইরাবিতুরম থানায় লিখিত অভিযোগ করে রাজগঞ্জের প্রধানপাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ আলি সহ অন্য ৫ যুবক। জানা গিয়েছে, রাজগঞ্জ থেকে ৩ জন এবং কোচবিহারের ৩ যুবক কেরালায় কোল্লামে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে অভিযুক্তরা তাদের আসার আগে থেকেই ছিল। সেখানে অভিযুক্ত ২ জন বাকিদের ক্ষতি করার চেষ্টা করত বলে অভিযোগ। ক’দিন আগেই কোচবিহারের তিন যুবক এবং রাজগঞ্জের প্রধানপাড়ার ওই তিন যুবকের মোবাইল এবং সব মিলিয়ে তাদের ৩৩ হাজার টাকা চুরি করে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ জানুয়ারি মাঝরাতে। স্থানীয় থানায় অভিযোগ করলে ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চুরির ঘটনা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রমাণিত হয়। লোকেশন ট্রেস করে মোবাইল ফোনগুলি করে উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃতদের পরে কোল্লাম থানায় রিমান্ডে পাঠানো হয়। মোবাইল এবং টাকা উদ্ধার করা হলেও পুলিশ এখনও প্রাপকদের হাতে সেগুলি তুলে দেয়নি বলে অভিযোগ। এই ঘটনা স্থানীয় পত্রিকা মালয়ালম মনোরমায় প্রকাশিত হয়। পুরো ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাকিরা। সৈয়দ আলি জানান, রাজগঞ্জ থেকে ২ বছর আগে কেরালায় কাজ করতে এসেছিলেন তারা। বর্তমানে সেখানে একটি সবজির দোকানে কাজ করেন সৈয়দ আলি সহ অন্য ৫ জন। অভিযুক্ত দুই যুবক তাদের আগেই কেরালায় গিয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করত বলে অভিযোগ। বর্তমানে মোবাইল এবং টাকা হাতছাড়া হওয়ায় অথৈ জলে পড়েছেন সকলে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় রাজগঞ্জের স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তারা।