রবিবার থেকে আগামী ৩০মে পর্যন্ত কার্যত লকডাউন রাজ্যে। সাংবাদিক বৈঠক করে তার ঘোষণা করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণা অনুযায়ী বাজার ও দোকানের সময় থাকবে:
সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সময়ে বাজার–মুদিখানা, খুঁচরো ব্যবসা, ডিম-দুধ-মাংস, ফল-সবজি ইত্যাদি দোকান খোলা রাখা যাবে। ওষুধ এবং অপটিক্যাল দোকান স্বাভাবিক নিয়মেই খুলবে
মিষ্টির দোকান সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা
শাড়ি ও গয়নার দোকান দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে খোলা থাকবে।
শনিবারের ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার থেকে চালু হওয়া লকডাউনে কি কি বন্ধ এবং কি কি খোলা থাকছে, জেনে নিন …
কি কি বন্ধ?
লোকাল ট্রেন-বাস-মেট্রো বন্ধ
অপ্রয়োজনীয় ট্যাক্সি-অটো চলাচল বন্ধ
রাজ্যের ভেতরে পন্য পরিবহণ
জরুরী দপ্তর ছাড়া সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ
শিল্প-কারখানা, উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ
ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ
বন্ধ থাকবে মদের দোকান
হোটেল, রেস্তরাঁ বন্ধ থাকবে
শপিং মল, সিনেমা হল, জিম-স্পা, বিউটি পার্লর, সুইমিং পুল, স্পোর্টস কমপ্লেস বন্ধ
স্কুল-কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ
পার্ক, চিড়িয়াখানা, স্যাঙ্কচুয়ারি বন্ধ
রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাইরে বেরনো নিষিদ্ধ
কি কি খোলা?
স্বাস্থ্য, ল অ্যান্ড অর্ডার, সংবাদমাধ্যম, আদালত, অটোমোবাইল সহ জরুরি পরিষেবা
বিদ্যুৎ, পানীয় জল, ই-কমার্স, পেট্রোল পাম্প, সাফাই, দমকল পরিষেবা চালু
খাবার-পণ্য-ওষুধ হোম ডেলিভারি করা যাবে
বাজার ও খুচরো ব্যবসা, অন্যান্য সব দোকান পাট সকাল ৭টা থেকে ১০টা
(দুধ, ডিম, মাংস, সবজি, ফল ও মুদির দোকান ইত্যাদি সবই ৭টা থেকে ১০টা)
মিষ্টির দোকান সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা
শাড়ি-গয়নার দোকান দুপুর ১২টা থেকে ৩টা
ওষুধ ও চশমার দোকান স্বাভাবিক সময়েই খোলা থাকবে
ব্যাঙ্ক (সকাল ১০টা থেকে ২টো পর্যন্ত), এটিএম খোলা থাকবে
খাদ্য সামগ্রী, অক্সিজেন এবং স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় পরিবহণ চালু থাকবে
শর্তসাপেক্ষে চা বাগান, চটকল চালু থাকবে
ঘোষণা অনুযায়ী, সৎকারে ২০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। বিয়েবাড়িতে ৫০ জনের বেশি নয়। ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে ২টো পর্যন্ত। খোলা থাকবে এটিএম। মুদিখানা এবং বাজার খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। হোটেল, রেস্তরাঁ আগের মতোই বন্ধ থাকবে। তবে খাবার এবং পণ্য বাড়িতে সরবরাহ করা যাবে। সমস্ত ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ থাকবে। ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালু থাকবে চটকল। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খুলে রাখা যাবে চা বাগান। বন্ধ থাকবে শিল্প-কারখানা।
রবিবার থেকে আগামী ১৫ দিনের জন্য জরুরি পরিষেবা ছাড়া, বাস-লোকাল ট্রেন, সমস্ত সরকারি, বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করল নবান্ন। শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে তার ঘোষণা করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, সকলকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। তা না হলে মহামারি আইনে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।