রাজগঞ্জ: আন্তর্জাতিক বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে রাজগঞ্জ ব্লকের দুই উঠতি বডিবিল্ডার তুহিন এবং মৈনাক। ইন্টারন্যাশেনাল ফেডারেশন অফ বডিবিল্ডিং অ্যান্ড ফিটনেস (IFBB) আয়োজিত ২০২২ মিস্টার ইউনিভার্স এবং ম্যান ফিসিক চ্যাম্পিয়নশিপ এবারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহারাষ্ট্রের পুনেতে। সেখানেই অংশ নিতে রাজগঞ্জ থেকে পুনে গিয়েছেন মৈনাক ও তুহিন। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই প্রতিযোগিতা। সেখানে ভারত এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে একাধিক প্রতিযোগীও অংশ নিয়েছেন।
পুনেতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মঞ্চে আত্মপ্রকাশের সুযোগ পেয়েছেন রাজগঞ্জের বাসিন্দা তুহিন দে এবং মৈনাক সাহা। ম্যানস্ ফিসিক (MEN’S PHYSIQUE) বিভাগে সিনিয়র প্রতিযোগী হিসেবে অংশগ্রহন করছেন মৈনাক। অন্যদিকে, তুহিন দে, এই প্রতিযোগিতায় জুনিয়র (JUNIOR MEN’S BODYBUILDING) মিস্টার ইউনিভার্স প্রতিযোগী হিসেবে ৬০-৭০ কেজি বিভাগে পারফর্ম করবেন। তাদের কোচ অভিজিৎ বোস RNF-কে জানান, ‘বড় মঞ্চে নিজেকে আত্মপ্রকাশের সুযোগ পাওয়াটাই অনেক বড় কথা। ওদের বয়স ২৩ (প্রায়)। দু’জনের মধ্যেই উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এবারই প্রথমবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের তুলে ধরতে চলেছে তারা। দু’জনকে নিয়েই আশাবাদী।’
অভিজিৎ বাবু আরও বলেন, মৈনাক এবারই প্রথম প্রতিযোগিতার মঞ্চে উঠছে। তবে সরাসরি পুনেতে যাওয়ার আগে কলকাতায় সিলেকশন পর্ব পেরিয়ে আসতে হয়েছে তাকে। পাশাপাশি মৈনাক বর্তমানে জুলজি নিয়ে মাস্টার্সও করছে। অন্যদিকে, তুহিন এর আগেও একাধিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নজর কেড়েছে। নর্থবেঙ্গল চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিল। এবারে কলকাতায় সিলেকশন পর্ব পেরিয়েই পুনেতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নামার সুযোগ পেয়েছে সে। মৈনাকের বাবা ডঃ মিলন সাহা জলপাইগুড়ি জেলা শিক্ষা প্রশিক্ষন কেন্দ্র DIET-এর প্রিন্সিপাল। মৈনাকের বর্তমান ঠিকানা বেলাকোবা কলেজপাড়ায় হলেও তাদের আদি ঠিকানা বাগডোগরা। অন্যদিকে, তুহিন দে রাজগঞ্জের ছেলে। তার বাবা সুশান্ত দে, ব্যবসায়ী। ছেলেদের স্বপ্নে বরাবরই উৎসাহ দিয়ে আসছেন তাদের পরিবার।
কোচ অভিজিৎ বোস জানান, অন্যান্য খেলাধুলার মতই বডিবিল্ডিং একটি উঠতি ক্ষেত্র। বর্তমানে ভার্চুয়াল জগতের সৌজন্যে অথবা নেশার পাল্লায় পড়ে যুব সমাজের অনেকেই দিশা হারিয়ে ফেলছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজেকে ফিট রাখার পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিত্ব তুলে ধরতে বডিবিল্ডিং যথেষ্ট উপযোগী। যদিও এখনও রাজগঞ্জ ব্লকে এর প্রচার বা গুরুত্ব মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। তবে শহরের মানুষ এই ক্ষেত্রে যথেষ্ট উৎসাহী। উত্তরবঙ্গের অনেক ছেলে মেয়ে নিজেদের কৃতিত্ব তুলে ধরেছে ইতিমধ্যেই। ‘আশা করি আগামীতে আমাদের এলাকা থেকে আরও অনেক প্রতিভা উঠে আসবে জনদরবারে।’