রাজগঞ্জ: প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগেই টিকিট না পাওয়ার আশঙ্কায় নির্দলে নাম লেখালেন রাজগঞ্জের কুকুরজান অঞ্চলের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা। মনোনয়নের তৃতীয় দিনে রাজগঞ্জ বিডিও অফিসে এমন ৩ জন নির্দল হিসেবে নমিনেশন জমা দিয়েছেন। সোমবার সকালে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে মনোনয়ন পত্র তোলার জন্য রাজগঞ্জ বিডিও অফিসে লাইনে দাঁড়ান বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা।
রাজগঞ্জে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার পরই ব্যালট ভোট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিক্ষুব্ধরা। তাঁদের আভ্যন্তরীণ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নির্দল প্রার্থী হয়ে তাঁরা নির্বাচন লড়বেন। সেই মত দলীয় মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগেই সোমবার সকালে আলাদা ভাবে কয়েকজন নমিনেশন জমা দিলেন। তাঁদের নামগুলি হল, জ্যোৎস্না বেগম, অখিল চন্দ্র রায়, আফাজদ্দিন মহম্মদ।
বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা অখিল চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রথমে প্রার্থী হিসেবে আমাদের নাম মনোনীত করা হয়েছিল। পরে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। টাকা দিতে পারিনি তাই হয়ত নাম উঠবে না। সেই আশঙ্কায় আজ নির্দল হিসেবে নাম জমা দিলাম। আগামীতে প্রার্থীর তালিকায় নাম থাকলে সেই নাম তুলে নেওয়া যাবে।’
এই ব্যাপারে রাজগঞ্জ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রার্থী তালিকা এখনও প্রকাশিত হয়নি। কাজেই এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কে প্রার্থী হবেন তা দল ঠিক করবে।’
সোমবার নমিনেশনের তৃতীয় দিনে রাজগঞ্জ বিডিও অফিসে সিপিএম, বিজেপির প্রার্থীরা নাম জমা দিলেন। বিকেল ৩টা অবধি সিপিএম-এর ৪২ জন এবং বিজেপির ৩৬ জন নমিনেশন জমা করেছেন। তৃণমূল ছাড়া অন্যান্য দলের কয়েকজন নাম জমা করেছেন। সোমবার থেকেই নমিনেশন সেন্টারের আশেপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিডিও অফিসের সামনে ভিড় করতে দিচ্ছে না পুলিশ। রাজগঞ্জের পুলিশ কর্তারা বিভিন্ন দলের নির্বাচনী তাবুতে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন। সোমবার সিপিএম নেতা জিবেশ সরকার এবং বিজেপির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় সংশ্লিষ্ট দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন।