জলপাইগুড়ি: শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ বিধায়কের পুত্রবধূর। লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলেন ওই মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে। স্থানীয় বিধায়ক খগেশ্বর রায় এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তারই পুত্রবধূ পিংকি রায়। স্বামীর নাম দিবাকর রায়। দিবাকর রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের ছোট ছেলে। পিংকির অভিযোগ অনুযায়ী, তার স্বামী অর্থাৎ বিধায়কের ছোট ছেলে দিবাকর এবং তার শাশুড়ি অর্থাৎ বিধায়ক পত্নী প্রতিমা রায় পিংকির ওপর মদ্যপান করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। মদ্যপ অবস্থায় তার স্বামী ও শ্বশুর তাকে মারধরও করত বলে পিংকির অভিযোগ। পিংকি বলেন, ‘দিবাকর একটা মাতাল’, একথা বিয়ের আগে তাকে জানানো হয়নি। পিংকি জানিয়েছে, তার বাপেরবাড়ি ময়নাগুড়িতে। ২০১৯ সালের ১৩ই মার্চ সামাজিক মতে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে পিংকির ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ। যদিও এর আগেও পণ দিয়েছিলেন পিংকির বাবা। অভিযোগ, এরপরও অত্যাচার করা হয়। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত অগাস্টে পিংকি বাপের বাড়ি চলে আসে। পিংকি জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে মিমাংসা করার চেষ্টা হলেও কোনও লাভ হয়নি। একাধিকবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু শ্বশুরমশাই প্রভাবশালী হওয়ায় তাও করতে পারেননি তিনি। যদিও শুক্রবার সন্ধ্যায় ফের রাজগঞ্জ থানায় গিয়েছেন। তার অভিযোগের একটি কপি জমা নেওয়া হলেও এখনও কোনও রিসিভ কপি দেওয়া হয়নি থানার তরফে। এই বিষয়ে বিধায়ক খগেশ্বর রায় জানান, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তার পুত্রবধূ হঠাৎ বাপের বাড়ি চলে যায়। এরপর থেকে আর আসেনি। পুত্রবধূর উপর কোনওরকম অত্যাচার হয়নি। ‘যেহেতু সামনে বিধানসভা নির্বাচন তাই পুত্রবধূকে দিয়ে আমার নামে বদনাম করার চেষ্টা করছে বিজেপি’, অভিযোগ বিধায়কের।