দীর্ঘ প্রতীক্ষার রাজ্যজুড়ে চলছে টেট পরীক্ষা। রবিবার সকাল থেকে ব্যস্ততা তুঙ্গে। আজ টেট পরীক্ষা দিচ্ছেন ৬ লক্ষ ১০ হাজার ৯৩২ জন পরীক্ষার্থী। সুষ্ঠুভাবে টেট পরীক্ষার সমাপন করা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে।
টেট পরীক্ষায় যাতে কোনওরকম সমস্যা তৈরি হলেও তা তৎক্ষণাৎ সামাল দেওয়া যায় তার জন্য প্রথমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন কম্পিউটার স্ক্রিনের মাধ্যমে সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রের ওপর নজর রাখছেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি জায়েন্ট স্ক্রীনের মাধ্যমে বিভিন্ন সেন্টার থেকে আসা ফুটেজের ওপরেও নজর রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রতিটি স্কুলে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে যেমন নজর রাখা হয়েছে, তেমনি প্রচুর সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার জানিয়েছেন, ‘পরীক্ষার জন্য ১ হাজার ৪৬০টি সেন্টার আছে। কন্ট্রোল রুম থেকেই বেশ কিছু সেন্টারের লাইভ ছবি দেখা হচ্ছে।’
আরও বলেন, সেন্টারে প্রবেশ-প্রস্থানের পথ থেকে পরীক্ষা পদ্ধতি শুরু হওয়ার সমস্ত বিষয়ই ধরা পড়বে এই কন্ট্রোল রুমে। যদি কোনও সমস্যা হয়, জেলার কোঅর্ডিনেশন কমিটি যোগাযোগ করবে। অন্যদিকে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল টেট পরীক্ষায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এই প্রসঙ্গে গৌতম পাল অভিযোগ করে বলেন, ‘পর্ষদের কাছে এবং প্রশাসনের কাছে সুনির্দিষ্ট খবর আছে কেউ কেউ এই পরীক্ষা ব্যবস্থা বিঘ্নিত করতে চাইছে। আমি নির্দ্বিধায় বলছি প্রশাসন অবগত আছে। প্রশাসন সতর্ক আছে। তার সঙ্গে পর্ষদও অবগত ও সচেষ্ট। কোনও পরীক্ষার্থী যদি আমাদের পরীক্ষাবিধি ঠিকমতো পালন না করে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করে বা বাইরের কোনও ব্যক্তি বিঘ্ন ঘটাতে চান, আমরা প্রশাসনের কাছে কঠোরতম শাস্তির সুপারিশ করব।’