রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যুদ্ধ-পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিনকে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট মেটানোর প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। যুদ্ধ না করে দু’পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট মেটানোর ব্যাপারে পুতিনকে পরামর্শ দিয়েছেন মোদী।
PM Narendra Modi speaks to Russian President Vladimir Putin
Pres Putin briefed PM about the recent developments regarding Ukraine. PM reiterated his long-standing conviction that the differences between Russia & NATO can only be resolved through honest and sincere dialogue: PMO
— ANI (@ANI) February 24, 2022
বৃহস্পতিবার রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করতেই কেন্দ্রের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মোদী। ওই বৈঠকের পর বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানান, রাতেই পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতির পর বেশ কিছু প্রস্তাব এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জ্বালানী তেল ও গ্যাস সঞ্চয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। শেয়ার বাজারকে চাঙ্গা করতে সরকারী পর্যায়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশে মজুদ খাদ্য সামগ্রী রপ্তানিতে রাশ টানার সিদ্ধান্ত। ইউক্রেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের নিরাপদে দেশে ফেরানো। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকার গুলিকেও দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সরাসরি অংশ নেবার আবেদন। যত দ্রুত সম্ভব সর্ব দলীয় বৈঠক এবং জাতীয় সংসদের যৌথ অধিবেশন ডাকা। পাকিস্তান ও চিন বাদে বাকি প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ঐক্যের ভিত্তিতে পৃথক শক্তির সৃষ্টি করার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র।
গত মঙ্গলবার পূর্ব ইউক্রেনের দুই প্রদেশকে পুতিন ‘স্বাধীন’ বলে ঘোষণা করেন। এরপরই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। বৃহস্পতিবার সকালে পুতিনের সেনা অভিযানের ঘোষণার পরেই ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা হামলা করে বলে অভিযোগ। ইউক্রেনের তরফেও যথাসম্ভব প্রতিরোধের কথা ঘোষণা করা হয়। যুদ্ধে ঘোষণা হতেই ইউক্রেনে আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেখানে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। মূলত এই বিষয়টি নিয়েই উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। ইউক্রেনে কর্মসূত্রে বা পড়াশোনা করতে যাওয়া ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার কাজে তৎপর হয় মোদী সরকার।