রাজগঞ্জ: খাতায়-কলমে তিনি বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী। অথচ মনোনয়ন জমা দেওয়ার পাঁচ দিন পর ঘটা করে আবার বিজেপির পতাকা ধরলেন। তাঁদের দাবি, তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন। এমন ‘নাটকীয় ঘটনা’ দেখে হেসে খুন তৃণমূল নেতৃত্ব। কটাক্ষ ছুঁড়ে তাদের দাবি, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মত কোনও লোক পাচ্ছে না; সে কারণেই নিজেদের লোকের হাতে পতাকা ধরিয়ে আবার যোগদান দেখানো হচ্ছে। রাজগঞ্জের ঘটনা নিয়ে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।
২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের হয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কুকুরজান অঞ্চলের মায়া দাস। তবে গেল বিধানসভা ভোটের পরই আগের দলের থেকে দূরত্ব তৈরি হয়। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির হয়ে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়ে ফেলেছিলেন। সব ঠিকঠাকই চলছিল, গোল বাঁধল নতুন করে গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পর।
রবিবার রাজগঞ্জের কুকুরজান অঞ্চলে পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সদস্য মায়া দাস প্রায় ২৫টি পরিবার নিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে খবর আসে। দুয়ারিখালী এলাকায় মন্টু বর্মনের বাড়িতে ওই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। বিজেপিতে যোগদানের পর এদিন মায়া দাস দাবি করেন, তৃণমূল দলে তার গুরুত্ব নেই। তিনি দলের নেতৃত্বকে জানিয়েছেন কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। তাই তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন।
তবে দেখা যায় মায়া দাস তিনি বিজেপির হয়ে নাম জমা দিয়েছেন পাঁচ দিন আগে। তৃণমূলের দাবি, মায়া দাস বিজেপির হয়েই কাজ করছিলেন। যদিও তিনি আগে একসময় শাসক-শিবিরে ছিলেন। আর এই ঘটনা ঘিরেই হাসির রোল শাসক শিবিরে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অরিন্দম ব্যানার্জি বলেন, এর থেকে হাস্যকর কিছু হতে পারে না। গেরুয়া শিবিরের নতুন করে যোগদানের কোনও লোক না পেয়ে নিজেদের লোকের হাতেই পতাকা তুলে যোগদান বলে চালানো হচ্ছে। নাটক ছাড়া আর কিছু নয়।