বাড়ি ভাঙচুর, ফাটল মাথা! রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা রাজগঞ্জেও

জলপাইগুড়ি: ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজগঞ্জ বিধানসভা। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ বিধানসভায় বেশ কয়েকটি এলাকায় হিংসার ঘটনা ধরা পড়েছে। শিকারপুর অঞ্চল, মাঝিয়ালী, সান্যাসিকাটা অঞ্চলে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। শিকারপুর অঞ্চলের বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্য তপন রায়ের বাড়ির সামনে উত্তেজনা তৈরি হয় ফল ঘোষণার দিনই। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। ঘটনা সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। পরে রাতে পুলিশ এসে বিষয়টি দেখেন। তারপরও দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব থামছে না বলে অভিযোগ।

এদিকে সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চলে পাগলার হাটের একটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে। এলাকার বেশ কিছু বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা সুব্রত চৌধুরী জানান, রাতে তার বাড়ির সামনে এসে তার নাম ডেকে হুমকি দেওয়া হয়। ভাঙচুরের চেষ্টাও করা হয় বলে তাঁর অভিযোগ। দলীয় পতাকা খুলে ফেলা হয়। এই বিষয়ে অঞ্চল সভাপতি রৌশান হাবিব বলেন, এলাকায় দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটতে পারে, তবে ভাঙচুর বা হাতাহাতির কোনও ঘটনা ঘটেনি। এলাকার দলীয় কর্মী সমর্থকদের আগে থেকেই শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন বলে জানালেন তিনি।

অন্যদিকে, রাজগঞ্জে তৃণমূলের বিজয় মিছিল চলাকালীন হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দু’জন কর্মীকে মেরে তাঁদের একজনের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আরেকজনের হাতে আঘাত লেগেছে। সোমবার কুকুরজান অঞ্চলে হরিপাল কলোনিতে তৃণমূলের বিজয় মিছিল চলাকালিন দলের দুই কর্মীর ওপর এ হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় দলীয় সমর্থকেরাই। যদিও কোভিড প্রোটোকল থাকা সত্ত্বেও কিভাবে বিজয় মিছিল করা হয় সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা প্রসঙ্গে নিজেদের দলীয় কর্মীদের সাবধান এবং শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি।