মায়ের শেষ কাজ সেরেই কর্তব্যে অবিচল প্রধানমন্ত্রী! মোদী প্রশংসায় পঞ্চমুখ সমর্থকেরা

সকাল ৬টায় মায়ের মৃত্যু সংবাদ জানালেন, ৮টায় আমেদাবাদের বাড়িতে গেলেন, সাড়ে ৯টায় শেষ কাজ সারলেন। একজন সাধারণ মানুষের মত বলা ভালো তার থেকেও আরও সাধারণ ভাবে এবং খুব অল্প সময়েই নিয়ম মেনে মায়ের অন্তিম ক্রিয়া পর্যন্ত ছেলে হিসেবে মা হিরাবেনের পাশেই রইলেন ছেলে মোদী। শ্মশান যাত্রায় সামিল থেকে মায়ের দেহ কাঁধে তুলে নিলেন ছেলে মোদী।

সব সেরে আবার সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যেই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পূর্ব নির্ধারিত কাজে ডুবে গেলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। সেই সঙ্গে বিরোধী নেতাদের সঙ্গেও চলল তার কাজ এবং বক্তব্যের আদান প্রদান। বলাই বাহুল্য, জীবনের একটি বড় ধাক্কার মধ্যেও নিজেকে কর্তব্যে বেঁধে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী। ছেলে হিসেবে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা এবং কর্তব্য একদিকে, অন্যদিকে দেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গুরু দায়িত্ব।

শুক্রবার দিনভর এই নিয়েই জোর আলোচনা চলল নেট মাধ্যমেও। টুইটার ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ‘নো ভিআইপি’ ট্রেন্ড‌ করালেন মোদী ভক্তরা। তাদের দাবি, কোনও ভিআইপি-র যাতায়াত নয়, কোনও জাতীয় ব্যবহার নয়, এমনকি মায়ের জন্য বিশেষ কোনও জায়গায় সমাধিও করেননি। সহজ সরল এবং কর্তব্যপরায়ণ মোদীকে দেখে মুগ্ধ বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা।

শুক্রবার বাংলায় আসার কথা থাকলেও মাতৃ বিয়োগের কারণে সেই পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়। সশরীরে বাংলায় না আসতে পারলেও ভার্চুয়ালি উদ্বোধন সারেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। এদিন ভোর সাড়ে তিনটা নাগাদ হাসপাতালে হীরা বেনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সে কথা সকাল ছটা নাগাদ টুইট করে জানান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি লেখেন শতবর্ষ উদযাপন করে ঈশ্বরের চরণে ঠাঁই নিয়েছেন তার মা। এরপর আমেদাবাদে গিয়ে মায়ের শেষ কাজ সম্পন্ন করলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর মাতৃ বিয়োগের পর দেশের রাষ্ট্রপতি নেতা মন্ত্রী সহ আপামর দেশবাসীর শোক প্রকাশ করেছেন। প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

About The Author