ক’দিন আগেই তৃণমূলে ফিরে আসা মুকুলকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ও আমাদের ঘরেরই ছেলে’, এখন আবার বলছেন, ‘মুকুল রায় তো বিজেপি পার্টির মেম্বার।’ মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুলকে নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
আসলে যত সমস্যা বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্স কমিটি বা প্যাক নিয়ে। এই কমিটির মাথায় কে বসবে, তা নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলে ঠান্ডাযুদ্ধ চলছে। এর মধ্যেই জানা যাচ্ছে, সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল রায়কে গুরুত্বপূর্ণ এই কমিটির চেয়ারম্যানের পদে বসাতে পারে তৃণমূল। এরই মধ্যে জল্পনা বাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বললেন, নোমিনেশ যে কেউ দিতে পারেন। মুকুল রায়’তো এখনও বিজেপি পার্টির মেম্বার।
মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এমন কথা শোনার পরই নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক মহলের দাবি, মুকুল রায় সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। খাতায় কলমে তিনি এখনও বিজেপিরই সদস্য। ফলে তাকে যদি এই কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসানো হয় সেক্ষেত্রে বলা হতেই পারে এই কমিটি বিরোধীদের হাতেই রয়েছে। বিধানসভার রীতি অনুযায়ী পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটি বিরোধীদের হাতেই থাকে। যদিও এর জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। কেবল রীতি হিসাবেই প্রচলিত। কিন্তু মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই উল্টে যায় গেরুয়া শিবিরে হিসাবনিকাশ। এখন দেখার বিষয় এই কমিটির মাথায় কে বসেন।