কলকাতা: নন্দীগ্রামের কাণ্ডের পর হুইলচেয়ারে বসেই ফের প্রচার শুরু করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার গাঁধী মূর্তির পাদদেশ থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করবে তৃণমূল। সেই কর্মসূচির শেষে হাজরা মোড়ের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেবেন। সেখানেই হুইল চেয়ারে বসেই বক্তৃতা করবেন তিনি। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর রবিবারই প্রথমবার প্রচারের ময়দানে তাঁকে দেখা যেতে চলেছে।
হাসপাতালের শয্যা থেকে ভিডিয়ো বার্তায় মমতা বলেছিলেন, দ্রুত তিনি দলের কাজে ফিরতে চান। কিন্তু আহত মমতাকে দু’দিন বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। পুরুলিয়ায় মমতার নির্ধারিত কর্মসূচি তাই বাতিল হয়ে যায়। সোমবার ঝাড়গ্রাম থেকে তিনি ফের প্রচার শুরু করবেন বলেও দলীয় সূত্রে জানা যায়। কিন্তু পরে আবারও পরিবর্তন করা হয় কর্মসূচি।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে চান। তাই রবিবার রাতেই তাঁর দুর্গাপুর যাওয়ার কথা। দুর্গাপুরে রাত কাটিয়ে সোমবার সেখান থেকেই পুরুলিয়া যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। কপ্টারে সেখান থেকে বাঁকুড়া যাওয়ার কথা তাঁর। সাধারণত ভোটের সময় কলকাতাতেও একাধিক কর্মসূচি থাকে তৃণমূলনেত্রীর। উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতার সর্বত্র পরপর সভা, মিছিলে তাঁকে অংশ নিতে দেখতেই অভ্যস্ত শহরবাসী।
কিন্তু নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে তিনি আহত হওয়ার পর সবটাই অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে যায়। রবিবার তৃণমূলের কর্মসূচি নন্দীগ্রামে মমতার উপর হামলার ঘটনার বিরোধিতা করেই। এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তৃণমূল যুব কংগ্রেস। গাঁধী মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু এই মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই মিছিল শেষ হবে হাজরায়। সেখানে একটি সভাও হবে। সেই সভাতেই মমতা হুইল চেয়ারে করে এসে বক্তৃতা করবেন। দলীয় সূত্রে খবর, রবিবারের সভা থেকেও মমতা দলের ইস্তাহার প্রকাশ করতে পারেন।