নয়াদিল্লি: লাদাখ নিয়ে সর্বদল বৈঠকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এদিন প্রধানমন্ত্রীর সর্বদল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই সরকারের সঙ্গে আছি। সবাইকে নিয়ে ভাবুন, সবাইকে নিয়ে চলুন। চিন গণতান্ত্রিক দেশ নয়। তাদের একনায়কতন্ত্র রয়েছে। যা মনে করে, তাই করতে পারে। অন্যদিকে আমাদেরকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়।’ এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘ভারত জিতবে, চিন হারবে। ঐক্যের কথা বলতে হবে। ঐক্যের কথা ভাবতে হবে, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে সরকারের পাশে রয়েছি।’
এরপর তিনি বলেন, ‘দেশে যাতে টেলিকম, অ্যাভিয়েশন বা রেলে চিনকে ঢুকতে না দেওয়া হয়। এতে সাময়িক অসুবিধে হলেও চিনকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।’
তবে, এদিনের বিরোধী বৈঠকে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, ‘৫ মে লাদাখে চিন যখন প্রথম অনুপ্রবেশ করে, তখনই এই বৈঠক ডাকা উচিৎ ছিল। কিন্তু তখন তা ডাকা হয়নি।’ প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘কবে থেকে চিনা অনুপ্রবেশ করল, তা নিয়ে কি সরকারের কাছে তথ্য ছিল? গত সোমবারের এই ঘটনা কি ইন্টেলিজেন্স ব্যর্থতা? সরকারকে কি আগাম সতর্ক করা হয়নি? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এক্ষেত্রে কি আগাম সতর্ক করতে ব্যর্থ?’ তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা করে কী লাভ হল, যার জন্যে প্রাণ দিতে হল ২০ জন জওয়ানকে?’
গালওয়ান উপত্যকায় চিনা বাহিনীর আক্রমণে শহীদ হয়েছেন ২০ ভারতীয় জওয়ান। চিনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের খবর অনুযায়ী ভারতের জওয়ানদের সঙ্গে সংঘর্ষে চিনেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতীয় জওয়ানদের পাল্টা আঘাতে চিনের ৩৫ বা তার বেশি সেনার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে সীমান্তে হাই এলার্টে রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীকে। ইতিমধ্যেই একাধিক ফাইটার জেট মোতায়েন করা হয়েছে সীমান্তে। সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে দফায় দফায় চলছে বৈঠক।