রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলা অশান্তি যুদ্ধের আকার নিয়েছে। ইউক্রেনের মানুষ রাশিয়ার হামলার মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যেই দেশটির বেশকিছু প্রশাসনিক ভবনের দখল নিয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে দেশটিতে কম করেও ২০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া আটকে পড়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যুদ্ধ শুরু হতেই এব্যাপারে মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত।
রাতের ফোনালাপ নিয়ে ভারতের তরফে জারি করা প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত যুদ্ধ চায়না। শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে দু’দেশের সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হোক। এছাড়া প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের সুরক্ষা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবেদন করেছেন। এদিকে, রাশিয়ার জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত রাশিয়ার অভিযান সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজ নিয়েছে। ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরানোর ব্যাপারে সাহায্য করবে রাশিয়া। এছাড়াও গত বছরের ডিসেম্বরে পুতিনের ভারত সফরে থাকাকালিন চুক্তি হওয়া কাজের অগ্রগতির ব্যাপারে উভয় পক্ষ খোঁজ খবর নিয়েছে।
বলা ভালো, শুরু থেকেই যুদ্ধের ব্যাপারে ভারতের সমর্থন না থাকলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারেনি ভারত। এদিকে, রাশিয়ার কড়া বার্তা, তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেন কোনও বাইরের কেউ নাক না গলায়, তাহলে ফল ভয়ানক হবে। ভারত সামরিক ক্ষেত্রে অনেকটাই রাশিয়ার ওপর নির্ভর করে। অন্যদিকে, যুদ্ধের সময়েই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া সফরে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। কাজেই এমন অবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে ঝামেলায় জড়াতে চায় না ভারত। এমনটাই মনে করছেন কূটনীতি বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা দিলেও আমেরিকা, ব্রিটেন, জাপান বা জার্মানি কখনই সেনা দিয়ে সাহায্য করার ব্যাপারে নেই। ন্যাটো দেশগুলির তরফেও কোনরকম সামরিক সাহায্য পায়নি ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি রাশিয়ার সঙ্গে আর্থিক চাপ সৃষ্টি করতে চাইলেও তাতেও রাশিয়া প্রেসিডেন্ট পুতিন সিদ্ধান্ত বদল করবেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।