কলকাতা: করোনার জেরে নেওয়া হবে না তৃতীয় বর্ষ বা ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা। আগের পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই মূল্যায়ন হবে বলে জানা যাচ্ছে। পাশ ফেলের সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ। শনিবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সহমত পোষণ করেছে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। সূত্রের খবর, এরপর এই প্রস্তাব পৌঁছবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তাঁর সিলমোহর পড়লেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শিক্ষমন্ত্রী। মূল বিচার্য বিষয় ছিল ফাইনাল সেমিস্টার। কারণ ইতিমধ্যেই ফাইনাল পরীক্ষার সময় পেরিয়ে গিয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু করার কথা ভাবছে ইউজিসি। আলোচনার ভিত্তিতে সমস্ত বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্যরা এই বিষয়ে সহমত হন যে ফাইনাল সেমিস্টার দেওয়ার জন্য কোনও ছাত্রছাত্রীকে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হবে না। কিভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে সে বিষয়ে চলছে চিন্তাভাবনা।
জানানো হয়েছে, আগের সেমিস্টারগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ৫০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে এবং বাকি ৫০ শতাংশ নম্বর কীভাবে দেবে তা কলেজের পরিকাঠামো এবং ছাত্রছাত্রীদের অবস্থানের ভিত্তিতে ঠিক করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেটা হোম অ্যাসাইনমেন্ট বা অনলাইন প্রজেক্টের মাধ্যমেও হতে পারে। ছাত্রছাত্রীদের যাতে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে না হয় সেদিকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা কলেজে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে বিরোধ দেখাতে শুরু করে। তাঁরা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ‘এগেইন্সট এক্সাম’ নামের গ্রূপ বানিয়ে প্রতিবাদ শুরু করে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও ‘এনবিইউ এগেইন্সট এক্সাম’ নাম দিয়ে গ্রুপ তৈরি করে প্রতিবাদ জানায়। কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী গ্রূপে যোগ দিয়েছে ইতিমধ্যেই। এখন দেখার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কি সিদ্ধান্ত নেয়।