শিলিগুড়ি: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ব্যবহার করে ছবি এডিট করে সোশাল মিডিয়ায় নিজেকে কো-পাইলট পরিচয় দিয়ে ৩০০-রও বেশি যুবতীর সঙ্গে প্রতারণা, শারীরিক সম্পর্ক! এমনকি লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। শিলিগুড়ির এক নার্সের অভিযোগে অবশেষে যুবককে করল গ্রেফ্তার পুলিশ৷ জানা গেল, তাঁর নাম হেমন্ত শর্মা। সিকিমের বাসিন্দা।
পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জন তরুণীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন ওই যুবক৷ এক সময় বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড স্টাফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন ওই যুবক। সেখান থেকেই প্রতারণার ফাঁদ পাতেন। তিনি নিজেকে কো-পাইলট হিসেবে সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরে। টার্গেট ছিল তরুণীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে প্রতারণা করা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক নার্সের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ।
অভিযোগ, নার্সের সঙ্গে প্রতারণা করে চার গ্রাম সোনা আত্মসাৎ করেন ওই যুবক। এরপরে মাটিগাড়া থানায় ওই নার্সের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মেডিক্যাল আউট পোস্টের পুলিশ সেই যুবককে গ্রেফতার করার ছক কষতে থাকেন। পরবর্তীতে ৭ মে শিলিগুড়ি সংলগ্ন শিবমন্দিরের দুর্গা মন্দির এলাকায় আসতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরবর্তীতে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সমস্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য ও মেডিক্যালের ওই নার্সের থেকে প্রতারণা করা সোনাও উদ্ধার করে পুলিশ। এই বিষয়ে শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, ‘ধৃত পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, সে নিজেকে কো-পাইলট হিসেবে পরিচয় দিয়ে একাধিক যুবতীর সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রতারণা করেছে।’