ভোটের ফল বেরোতেই রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত চোপড়া, দোকানপাট ভাঙচুর

ভোটের ফলাফল ঘোষনার পরই ফের উত্তপ্ত হল উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া বিধানসভা। চোপড়া ব্লকের একাধিক জায়গায় বাজার, বাড়ি, বিজেপি কার্যালয় ভাঙচুর লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনায় যুক্ত বলে অভিযোগ। বাড়ি, দোকানপাট লুঠ করে নেওয়ায় বহু পরিবার এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন। বিরোধী ছাড়াও বহু দলীয় কর্মী সমর্থকদের বাড়িতেও এই ঘটনা ঘটায় এলাকায় চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দলের সমর্থকেরা।

উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের সোনাপুর বাজারে হামলা-ভাঙচুরের পাশাপাশি লুঠপাট চালানো হয় বলে অভিযোগ। বাজার এলাকায় জনৈক ফলেন্দ্রনাথ সিংহের কাপড়ের দোকানে দূষ্কৃতীরা অবাধে লুঠপাট চালায় বলে অভিযোগ। এমনই ছবি ধরা পরেছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। অভিযোগ, দোকানের মালিক বিজেপির সমর্থক ভেবে নিয়েই তৃনমূল কংগ্রেসের দূষ্কৃতীরা এই হামলা চালায়। শাসক দলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ঘটনার অনেক পরে পুলিশ এলাকায় পৌছায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। রবিবার গননার শেষ হওয়ার পরেই চোপড়ার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে আগুন, দোকানে ভাংচুর, দোকানের জিনিসপত্র লুট করার অভিযোগ উঠেছে তৃনমুল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার ২৩৩ নম্বর বুথে বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। মারধর করা হয়েছে পরিবারের লোকজন কেও, পাশাপাশি দেওয়া হল প্রান নাশের হুমকি। অভিযোগ করেছে পরিবারটি অন্যদিকে মঙ্গলবার গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতাল মোড়ে এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ, অভিযোগের তীর শাসকদলের বিরুদ্ধেই। যদিও এটি বিজেপির গোষ্ঠি কোন্দল বলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে তৃণমূল-কংগ্রেস। বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। কলকাতা থেকে হাওড়া- বাদ যায়নি কোথাও। এমন আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন বিরোধী দলের নেতারা।