মালবাজার: গত মঙ্গলবার এর পর বৃহস্পতিবার সকালে মালবাজারে ফের উদ্ধার হল একটি পূর্ণবয়স্ক চিতা। স্থানীয় মানাবাড়ি চা বাগানে ছাগলের টোপ দিয়ে ধরা হল চিতাবাঘ টিকে। জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে ওই চা বাগান বন্ধ ছিল সেই সুযোগে চিতাবাঘের পরিবার বেড়ে ওঠে সেখানে।
এদিকে চা-বাগান খোলার পর চিতাবাঘের দেখা পেয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছইলেন শ্রমিকেরা। গত মঙ্গলবার এর পর আজ সকালে ফের একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ উদ্ধার করল বনদপ্তর। এই ঘটনায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছেন চা শ্রমিকরা।
গত মঙ্গলবার এই বাগানে বনদফতর এক মাঝ বয়সি চিতা বাঘকে ধরেছিল। আবার ও সেই মালবাজার মানা বাড়ি চা বাগানে খাঁচা বন্দি হল চিতা। বেশ কিছুদিন থেকেই বাগানের মধ্যে চিতাবাঘের আনাগোনা লক্ষ্য করছিলেন শ্রমিকরা। বাগানের চার নম্বর সেকশনে বাঘ ধরার খাঁচা পাতা হলে তাতেই ধরা পড়ে এই চিতাবাঘটি। প্রায় পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর সদ্য বাগানটি খুলেছে, তাই ঝোপ-জঙ্গলে ভরে গিয়েছিল গোটা বাগান। তার সেই নিরিবিলিতেই আশ্রয় নিয়েছিল চিতাবাঘ। বাগানের নালাতেই বাচ্চা প্রসবও করছিল তারা।
বনদফতর ছাগলের টোপ দিয়ে চিতাবাঘটিকে ধরার জন্য খাঁচা পাতে। সেই ছাগল খাবার লোভে এসে খাঁচা বন্দি হল চিতা বাঘ। মালবাজার ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঘটিকে উদ্ধার করে লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যায়। মালবাজার বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার দীপেন সুব্বা বলেন,আজ মানাবাড়ি চা বাগানে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষের আবার খাঁচাবন্দি হয়েছে। বেশ কিছুদিন থেকেই বাগানের মধ্যে চিতা বাঘের দেখা মিলল ছিল কলেশ্বর চা-শ্রমিকরা আতঙ্কিত ছিল। একদিন আগেই এই বাগানে ধরা পড়েছিল একটি স্ত্রী মাঝবয়সী চিতাবাঘ। চিতাবাঘ টিকে উদ্ধার করে লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে, পরে বনদপ্তর আধিকারিক দের পরামর্শক্রমে সেটাকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মানাবারি চা বাগানের ম্যানেজার রাজীর চ্যাটার্জি বলেন, এই বাগানটি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল যার ফলে ঝোপ-জঙ্গলে ভরে গিয়েছিল আর তার সুযোগেই সেখানে চিতাবাঘ অন্যান্য বন্যপ্রাণী আশ্রয় নিয়েছে। এখন বাগানটা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করেছি আমরা এবং তার ফলে একের পর এক চিতাবাঘ বেরিয়ে আসছে। বাগানে শ্রমিক বস্তি তে মাঝে মধ্যেই চিতাবাঘ ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে একদিনের ব্যবধানে পরপর দুটি চিতাবাঘ উদ্ধার হল।আরো চিতাবাঘ রয়েছে বলে আমাদের অনুমান। চিতাবাঘ উদ্ধারের পর কিছুটা আতঙ্ক মুক্ত বাগানের শ্রমিকরা।